ধর্ষণ প্রতিরোধে করণীয় নির্ধারণে কমিশন গঠনের নির্দেশ

প্রকাশ | ১৯ জানুয়ারি ২০২০, ১৭:১১

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

ধর্ষণ প্রতিরোধে ৩০ দিনের মধ্যে একটি কমিশন গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ওই কমিটিকে পরবর্তী ৬ মাসের মধ্যে ধর্ষণ প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে একটি সুপারিশমালা তৈরি করে প্রতিবেদন আকারে আদালতে জমা দেয়ার নির্দেশও দেয়া হয়েছে।

জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে রবিবার বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালত ওই কমিটিতে রিটের সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের প্রতিনিধি, সুপরিচিত মানবাধিকার সংগঠনের কর্মী, গণমাধ্যমের কর্মীদের একজন করে প্রতিনিধি, আইনজীবী, বিচারক, সমাজের সচেতন নাগরিক, সমাজের বিশিষ্টজন, চিকিৎসক প্রতিনিধি রাখতে বলেছে।

রিটের পক্ষে শুনানি করেন রাবেয়া ভূঁইয়া আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

এছাড়া অন্তবর্তীকালীন এই আদেশের পাশাপাশি ১৬ বছরের নিচে কেউ ভিকটিম হলে সেক্ষেত্রে ধর্ষকের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড প্রণয়ন করায় সরকারের নিস্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত।

পাশাপাশি ধর্ষণের ঘটনায় কারো মৃত্যু ঘটলে সেক্ষেত্রে আইনে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি যাবজ্জীবনের সাজার যে বিধান রয়েছে সে যাবজ্জীবন সাজা উঠিয়ে দিতে সরকারের নিস্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না রুলে তা জানতে চাওয়া চেয়েছে।

এছাড়া ধর্ষণের ভিকটিমদের জন্য সাক্ষী সুরক্ষা আইন কেন প্রণয়ন করা হবে না, ধর্ষকদের ডিএনএ সংরক্ষণের জন্য কেন ডিএনএ ডাটাবেজ করা হবে না, প্রতিটি জেলায় ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের মাধ্যমে ভিকটিমদের সুরক্ষায় কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, ভিকটিমদের ছবি গণমাধ্যমে প্রচারের ক্ষেত্রে কেন সতর্কতা অবলম্বন করা হবে না, সব ধরণের ধর্ষণের অপরাধের জন্য কেন পৃথক একটি আদালত গঠন করা হবে না এবং সে আদালতে দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি করার ক্ষেত্রে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না- তাও জানতে চেয়ে রুল জারি করে সংশ্লিষ্টদের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

ঢাকাটাইমস/১৯জানুয়ারি/এআইএম/ডিএম