যশোরে গৃহবধূ হত্যার অভিযোগে স্বামী গ্রেপ্তার

প্রকাশ | ১৯ জানুয়ারি ২০২০, ১৯:৩৩

যশোর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
প্রতীকী ছবি

যশোরের মণিরামপুরে লিপিকা দাস নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার মাঝিয়ালী গ্রামে স্বামী বিজয় দাসের বাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

যৌতুক ও নিজের পরকীয়ার জেরে বিজয় দাস তার স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ লিপিকার স্বজনদের। পুলিশ বিজয় দাসকে আটক করেছে।

বিজয় দাস মাঝিয়ালী গ্রামের ধীরেন দাসের ছেলে। তিনি জুতা সেলাই করে সংসার চালান। আর লিপিকা কেশবপুর উপজেলার খতিয়াখালি গ্রামের পাগল দাসের মেয়ে।

ছয়-সাত বছর আগে বিজয়-লিপিকার বিয়ে হয়। তাদের প্রীতি (৪) ও প্রিতম (২) নামে দুই সন্তান রয়েছে।

লিপিকার ভাই সাধন দাসের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে লিপিকাকে ঘরে নিতে চাইত না বিজয়। টাকার জন্য বিভিন্ন সময়ে বিজয় তাকে মারধর করত। কয়েকদিন আগে বিজয় জমি কিনবে বলে দুই লাখ টাকা দাবি করে। সেই টাকা দিতে না পারায় লিপিকাকে পিটিয়ে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছেন তিনি।

সাধন বলেন, শনিবার সন্ধ্যার পরপরই লিপিকাকে হত্যা করে গলায় লুঙ্গি জড়িয়ে তার লাশ ঝুলিয়ে রাখে বিজয়। লিপিকার মরার খবর বিজয় আমাদের জানায়নি। লিপিকা আত্মহত্যা করেছে, এমন খবর প্রচার করে তারা তাকে দাহ্য করার জন্য শ্মশানে নেওয়ার কাজ শুরু করে। পরে বিজয়ের পাশের বাড়ি থেকে ফোন পেয়ে আমরা দ্রুত চলে আসি।

লিপিকার ভাবি শোভা দাস বলেন, বিজয় আগের স্ত্রী ও চার সন্তান থাকার বিষয়টি গোপন করে লিপিকাকে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে এক বছরও ভালোভাবে সংসার করতে পারেনি লিপিকা। বিজয় ঢাকায় ও চট্টগ্রামে জুতা সিলাইয়ের কাজ করত। লিপিকাও তার সঙ্গে থাকত। চট্টগ্রামে এক নারীর সঙ্গে বিজয়ের পরকীয়া আছে। এই কারণে লিপিকাকে পিটিয়ে ঘর থেকে বের করে দেন বিজয়। পরে কেশবপুরে আমাদের বাড়িতে আশ্রয় নেয় লিপিকা। এই নিয়ে আমরা কেশবপুর থানায় অভিযোগ করি। গত ২২ ডিসেম্বর থানায় মুচলেকা দিয়ে লিপিকাকে নিয়ে আসেন বিজয়। এরপর শনিবার রাতে তাকে পিটিয়ে হত্যা করে।

মণিরামপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জহির রায়হান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, লিপিকা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। স্বজনদের অভিযোগেরভিত্তিতে বিজয়কে হেফাজতে নিয়েছি।

(ঢাকাটাইমস/১৯জানুয়ারি/কেএম/এলএ)