পাবনায় অতিথি পাখি রক্ষায় হাইকোর্টের নির্দেশ
অতিথি পাখি শিকার রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পাবনার জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি), সুজানগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রবিবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন। রবিবার একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে নিয়ে এ আদেশ দেন আদালত।
প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আইনুন্নাহার সিদ্দিকা লিপি। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘পাবনার সুজানগরে অবাধে অতিথি পাখি নিধন করা হচ্ছে। এক শ্রেণির অসাধু পাখি শিকারিসহ কিছু সৌখিন শিকারী এই অনৈতিক কাজ করছেন। প্রতিবছর শীতের মৌসুমে সুদূর সাইবেরিয়াসহ পৃথিবীর বিভিন্ন শীতপ্রধান দেশ থেকে রাজহাঁস, চখা, পানকৌড়ি, পাতিহাঁস ও কাজলাদিঘিসহ বিভিন্ন জাতের অতিথি পাখি একটু নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ছুটে আসে উপজেলার ঐতিহ্যবাহী গাজনার বিলসহ পদ্মার চরাঞ্চলে। এ বছরও শীতের শুরুতেই ঐ সকল পাখি গাজনার বিল ও পদ্মার চরাঞ্চলসহ আশপাশের বিলে আশ্রয় নিয়েছে।
বিলপাড়ের শারীরভিটা গ্রামের বাসিন্দা বাদশা শেখ জানান, মাঝেমধ্যেই শিকারিরা বিলে কারেন্ট জালের ফাঁদ পেতে নির্বিঘ্নে অতিথি পাখি শিকার করছেন। শিকারিরা কখনো দিনে আবার কখনো রাতে পাখি শিকার করে স্থানীয় হাটবাজারে বিক্রি করে থাকেন। সেইসঙ্গে সৌখিন শিকারিরাও মাঝে মধ্যে তাদের বৈধ বন্দুক দিয়ে বিল ও চরাঞ্চল থেকে অতিথি পাখি শিকার করছেন। সৌখিন শিকারীরা অতিথি পাখির পাশাপাশি গ্রাম-গঞ্জে ঘুরে দেশি পাখিও শিকার করে থাকেন।’
ঢাকাটাইমস/১৯ জানুয়ারি/এআইএম/ইএস