চিন্তা কমল এন্ড্রু কিশোরের

প্রকাশ | ২০ জানুয়ারি ২০২০, ০৮:১১ | আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২০, ১০:০১

বিনোদন প্রতিবেদক

ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে সিঙ্গাপুরের জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন দেশের কিংবদন্তি প্লেব্যাক সিঙ্গার এন্ড্রু কিশোর। গত ৯ সেপ্টেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য তিনি সিঙ্গাপুরে যান। সেখানেই তার ক্যান্সার ধরা পড়ে। এরই মধ্যে শিল্পীর চিকিৎসা বাবদ এক কোটি টাকারও বেশি খরচ হয়ে গেছে। প্রয়োজন আরও দুই কোটি টাকারও বেশি।

এন্ড্রু কিশোরের চিকিৎসার জন্য গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১০ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছিলেন। সেই টাকা দিয়েই প্রাথমিকভাবে তার চিকিৎসা শুরু হয়েছিল। এরপর চিকিৎসা খরচ বহনের জন্য গায়ক তার রাজশাহীর একটি ফ্ল্যাট ৩৫ লাখ টাকায় বিক্রি করে দেন।

এছাড়া এন্ড্রু কিশোরের স্ত্রী লিপিকা এন্ড্রুর আবেদনের প্রেক্ষিতে শিল্পীর চিকিৎসা বাবদ ফান্ড গঠনের জন্য ‘গো ফান্ড মি’ নামের একটি ওয়েবসাইট চালু করা হয় কিছুদিন আগে। সিঙ্গাপুর প্রবাসী বাংলাদেশিরা এই ফান্ডটি চালু করেন। সেখান থেকে ৫০ লাখ টাকারও বেশি তহবিল গঠন হয়। কিন্তু সব মিলিয়েও তার চিকিৎসা ব্যয় বহন খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে গিয়েছিল এন্ড্রু কিশোরের পরিবারের কাছে। চিন্তায় ছিল তার পরিবার।

অবশেষে শিল্পীর সেই চিন্তা কমালেন দেশনেত্রী শেখ হাসিনা। ক্যান্সারে আক্রান্ত সংগীতশিল্পী এন্ড্রু কিশোরের চিকিৎসায় পূর্ণ সহায়তা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার চিকিৎসার পুরো বিষয়টি তদারকি করার জন্য ইতোমধ্যে সিঙ্গাপুরস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কাজেই এখন আর তাকে চিকিৎসার খরচ নিয়ে ভাবতে হবে না।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর এন্ড্রু কিশোরের ক্যান্সার ধরা পড়ে। যার জন্য গত ২৬ নভেম্বর থেকে তাকে কেমোথেরাপি দেয়া শুরু হয়েছে। আগামী ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাকে সিঙ্গাপুর থাকতে হবে বলে সে সময় জানান এই শিল্পী। তাকে মোট ২৪টি কেমোথেরাপি দেয়া হবে। গত এক মাস তার কোমোথেরাপি সাময়িক বন্ধ ছিল। শনিবার সকাল থেকে আবারও শুরু হয়েছে। এটি তার ১৮তম কোমোথেরাপি। এবারেরটা সফল ভাবে সম্পন্ন হলে আর বাকি থাকবে ছয়টি।

ক্যান্সারের পাশাপাশি এন্ড্রু কিশোর হরমোনজনিত সমস্যায়ও ভুগছিলেন। এ জন্য তার ওজন হ্রাসসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। তার এড্রেনাল প্ল্যান্ডও বড় হয়ে গিয়েছিল। শিল্পীর সুস্থতার জন্য সকলের দোয়া, আশির্বাদ এবং সহযোগিতা চেয়েছেন তার পরিবার।

ঢাকাটাইমস/২০জানুয়ারি/এএইচ