ঝাঁকে ঝাঁকে মরছে সামুদ্রিক পাখি

প্রকাশ | ২০ জানুয়ারি ২০২০, ১২:০০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস

ঝাঁকে ঝাঁকে মরছে সামুদ্রিক পাখি। ক্যালিফর্নিয়া থেকে আলাস্কা— দীর্ঘদিন ধরে এই ঘটনার সাক্ষী হয়েছেন উত্তর আমেরিকার পশ্চিম উপকূলের বাসিন্দারা। এই ঘটনা তদন্ত প্রতিবেদন সামনে আসতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন প্রকৃতিবিদরা। এই ঘটনার জন্য তদন্তে দায়ী করা হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনকে।

বিশেষজ্ঞদের দাবি, এক বছরে কমপক্ষে ১০ লক্ষ সমুদ্রের মাছধরা পাখি ‘কমন মুর’ এর মৃত্যু হয়েছে। স্মরণকালে যা মনে করতে পারছেন না প্রকৃতিবিদেরা। তাদের অনুমান, সমুদ্রের জলের তাপমাত্রা অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়াতেই এই বিপর্যয়। যার পিছনে অন্যতম কারণ ‘জলবায়ু পরিবর্তন’। খবর গার্ডিয়ানের।

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, সমুদ্রের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় খাদ্যাভাবে পড়তে হয় ‘কমন মুর’দের। ২০১৫ সালের গ্রীষ্ম থেকে ২০১৬ সালের বসন্ত, প্রায় না খেতে পেয়ে মরতে হয়েছে অসংখ্য পাখিকে।

সমুদ্রবিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, উত্তরপূর্ব প্রশান্তমহাসাগরের জলের তাপমাত্রা বৃদ্ধি প্রথম শুরু হয়েছিল ২০১৩ সালে, ২০১৫ সালের গ্রীষ্মে এল নিনোর জন্য তা আরও বেড়ে যায়। ২০১৬ সাল পর্যন্ত সমুদ্রে এই উষ্ণ জলের স্রোত চলতে থাকে। ২০১৫ সালের গ্রীষ্ম থেকে ২০১৬ সালের বসন্ত, এই সময়টাতেই অন্তত ৬২ হাজার ‘কমন মুর’ এর মৃতদেহ মেলে।  বিশেষজ্ঞদের অনুমান, সব মিলিয়ে সংখ্যাটা ১০ লক্ষাধিক পাখির মৃত্যু হয়েছে।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণ সংস্থা (ইউএসজিএস) এর জন পিয়াট বলেন, ‘প্রশ্নটা হচ্ছে, একটা নির্দিষ্ট সময়ে ৬ হাজার কিলোমিটার এলাকা জুড়ে কী ভাবে ১০ লক্ষ পাখি মরে থাকতে পারে... কারণটা কী?’

এর ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, কমন মুরের গণমৃত্যু আগেও হয়েছে। কিন্তু সংখ্যা এত ভয়াবহ ছিল না। তাছাড়া এই প্রজাতির পাখিদের মধ্যে অভিযোজন ক্ষমতা খুবই বেশি। সমুদ্রের গভীরে ঝাঁপ দিয়ে জলের অতল থেকে মাছ ধরার ক্ষমতা রয়েছে এদের।

তদন্ত-রিপোর্ট দেখে পিয়াট ও তার সহকর্মীরা বলছেন, কমন মুরেদের খাদ্যাভাস অনুযায়ী, তাদের ভাল পরিমাণ মাছের প্রয়োজন হয় প্রতিদিন। সমুদ্রের জলের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় হয়ত খাদ্যাভাবে পড়তে হয়েছিল তাদের।

ঢাকা টাইমস/২০জানুয়ারি/একে