ভারতের সিএএ নিয়ে এবার ক্ষুব্ধ হামিদ কারজাই

প্রকাশ | ২১ জানুয়ারি ২০২০, ০৮:৫৩ | আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২০, ০৮:৫৬

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস

ভারতের নাগরিকত্ব আইন নিয়ে সম্প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবার তার সঙ্গে গলা মিলিয়ে ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই।

এক সাক্ষাৎকারে কারজাই বলেন, ভারত যেন মুসলমানসহ সমস্ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কেই সমান দৃষ্টিতে দেখে।আমরা কোনো হিন্দুর ওপর নিপীড়ন করিনি। আমাদের গোটা দেশটাই নিপীড়নের শিকার। আফগানিস্তানের ৩টি প্রধান ধর্মের মানুষ, মুসলমান, শিখ এবং হিন্দুদের একই ভাবে সহ্য করতে হয়েছে তা।

কাশ্মীর ও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে নিজেদের ভাবমূর্তি যাতে কমে না যায়, তা নিশ্চিত করার জন্য বেশ কিছুদিন ধরেই সক্রিয় ভারত। রাষ্ট্রদূতদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট দেশগুলির নেতৃত্বের কাছে ভারতের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে। একই ভাবে দিল্লিতে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের দূতদের ডেকেও বোঝানো হচ্ছে।

নাগরিকত্ব বিলটি পেশের সময় সংসদের দুই কক্ষেই পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তানের বারবার  তুলনা করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিষয়টি নিয়ে সরকারি ভাবে কাবুল কিছু না বললেও কারজাইয়ের এই মন্তব্যকে গুরুত্ব দিচ্ছে মোদি সরকার। খবর আনন্দবাজারের।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের দাবি, বর্তমান আশরাফ ঘানি সরকারের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ রয়েছে। ভুল বোঝাবুঝি না হয় যাতে, সজাগ থাকা হচ্ছে।

কাবুলের ক্ষোভ সামলে দেওয়া গেলেও ঢাকাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার চেষ্টা করছে মোদি সরকার। অগ্নিগর্ভ প্রতিবেশী বলয়ের মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশই ভারতের নির্ভরশীল মিত্র। মার্চে বঙ্গবন্ধু শতবর্ষ উৎসবের সূচনায় ঢাকা আসার কথা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। তার আগে দূরত্ব ঘোচাতে তৎপরতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত।

গত অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরের সময় ৭টি চুক্তি এবং ৩টি নতুন প্রকল্পের ঘোষণা হয়েছিল। তার মধ্যে ছিল পূর্ব এশিয়া থেকে বাংলাদেশ হয়ে ত্রিপুরায় গ্যাস সরবরাহ, চট্টগ্রাম এবং মংলা বন্দর ব্যবহার, বাংলাদেশে দক্ষতাকেন্দ্র গড়ে তোলা, বাণিজ্যিক সমঝোতা বাড়ানোর মতো বিষয়। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় এই প্রকল্পগুলিকে বাস্তবায়িত করার নির্দেশ দিয়েছে মোদি সরকার।

ঢাকা টাইমস/২১জানুয়ারি/একে