দুই দশকে নতুন যত ভয়ংকর ভাইরাস

প্রকাশ | ২১ জানুয়ারি ২০২০, ০৯:৪৩ | আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২০, ০৯:৪৭

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস

চীনে সম্প্রতি করোনা ভাইরাস নামে নতুন একটি ভাইরাসের প্রকোপ দেখা দিয়েছে, যা ছড়িয়ে পড়া আটকাতে বিভিন্ন দেশের বিমানবন্দরগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে৷ গত প্রায় দুই দশকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এমন অনেক নতুন নতুন ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটেছে। তেমনই কয়েকটি ভয়ংকর ভাইরাস নিয়ে এই প্রতিবেদন-

বার্ড ফ্লু (এইচ৫এন১)

১৯৯৭ সালে হংকংয়ে এইচ৫এন১ ভাইরাস ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল৷ তারপর ২০০৩, ২০০৬, ২০০৭ ও ২০০৮ সালে এশিয়ার আরো কয়েকটি দেশে এই ভাইরাসের প্রকোপ দেখা দেয়৷ ২০০৩ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ৬৩০ জন বার্ড ফ্লুতে সংক্রমিত হয়েছেন এবং ৩৭৫ জন মারা গেছেন৷

নিপাহ ভাইরাস

১৯৯৮ সালে মালয়েশিয়ার পাংকর দ্বীপের ছোট্ট শহর কামপুং তেলুক নিপাহতে নতুন একটি ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব হয়৷ পরের বছর ওই শহরের নামে ভাইরাসটির নামকরণ হয় নিপাহ৷ এই ভাইরাসে আক্রান্তদের মৃত্যুর আশঙ্কা ৫৪ শতাংশ৷ ২০১৮ সালে ভারতের কেরালায় এই ভাইরাস সংক্রমণে অন্তত ১৬ জনের মৃত্যু হয়৷ ২০১৩ সালে বাংলাদেশে নিপাহ ভাইরাসে অন্তত ১০ জন মারা যান৷

সার্স

সিভিয়ার একিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম (সার্স) ভাইরাসের প্রথম প্রাদুর্ভাব হয় চীনে৷ ২০০২ ও ২০০৪ সালে এশিয়ার কয়েকটি দেশে সার্স ভাইরাস মারাত্মক আকারে ছড়িয়ে পড়ে৷ আট হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হন, মারা যান প্রায় ৭৭৪ জন৷ ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হলে ভয়াবহ শ্বাসকষ্ট হয়৷ তবে ২০০৪ সালের পর এই ভাইরাসে প্রাদুর্ভাবের খবর আর পাওয়া যায়নি৷

সোয়াইন ফ্লু

২০০৯ সালে প্রথম বিশ্বজুড়ে এইচ১এন১ ভাইরাসের প্রকোপ দেখা যায়৷ শূকরের ফ্লুর সঙ্গে লক্ষণ মিল থাকায় একে সোয়াইন ফ্লু নাম দেওয়া হয়৷ এখন পর্যন্ত বিশ্বের ১১ থেকে ২১ শতাংশ মানুষ এ ফ্লুতে আক্রান্ত হয়েছেন৷ দেড় লাখ থেকে প্রায় ছয়লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে৷

মার্স (মিডলইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম)

এটি সার্স ভাইরাস গোত্রেরই একটি ভাইরাস৷ ২০১২ সালে প্রথম সৌদি আরবে এই ভাইরাসের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়৷ দেশটিতে মার্সে আক্রান্ত প্রায় ৩৫ শতাংশ মানুষ মারা যান৷ উট থেকে এই ভাইরাস মানবদেহে ছড়ায় বলে ধারণা করা হয়৷ হাঁচি, কাশি ও সংস্পর্শের মাধ্যমে মানুষ থেকে মানুষেও ছড়ায়৷

করোনা ভাইরাস

চীনের উহান প্রদেশে গত ডিসেম্বর থেকে করোনা ভাইরাস নামে নতুন এক ভাইরাসের প্রকোপ দেখা দিয়েছে৷ দিন দিন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলছে৷ সরকারি হিসাব মতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত দুই শতাধিক, মারা গেছেন তিন জন৷ যুক্তরাজ্যের বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, চীন সরকারের হিসাবের চাইতে প্রকৃত আক্রান্তের সংখ্যা আরো অনেক বেশি, প্রায় ১৭শ জন৷ এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট এবং মারাত্মক নিউমোনিয়া দেখা দেয়৷

এমন এক সময়ে করোনা ভাইসারের প্রাদুর্ভাব হয়েছে যখন চীনে নববর্ষ উদযাপন চলছে৷ এ সময় সারা বিশ্ব থেকে চীনা নাগরিকরা দেশে ফেরেন এবং অনেক পর্যটক নববর্ষ উদযাপন দেখতে চীনে ভ্রমণ করেন৷ ফলে এই ভাইরাস বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা রয়েছে৷চীন ছাড়াও থাইল্যান্ড, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে৷

ঢাকা টাইমস/২১জানুয়ারি/একে