বিশ্বের উন্নয়নেও ভারতের আর্থিক মন্দার ধাক্কা দেখছে আইএমএফ

প্রকাশ | ২১ জানুয়ারি ২০২০, ১৫:০৬ | আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২০, ১৫:২৭

ঢাকা টাইমস ডেস্ক

ভারতে অর্থনৈতিক ঝিমুনির প্রভাবে বিশ্বের উন্নয়নও ধাক্কা খাবে বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফ। বৈশ্বিক এই সংস্থার মুখ্য অর্থনীতিবিদ গীতা গোপীনাথ সোমবার এমনটাই জানিয়েছেন।

এই অর্থনীতিবিদের মতে, ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার নিম্নমুখী হওয়ায় তা বিশ্বের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে টেনে নামাবে আরও ‘০ দশমিক ১’ শতাংশ নীচে।

ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার নিয়ে পূর্বাভাস করতে গিয়ে আইএমএফ তা দাঁড় করিয়েছে ৪ দশমিক ৮ শতাংশে। ওই পূর্বাভাসে গত তিন মাসের মধ্যেই যা নেমে গিয়েছে ১ দশমিক ৩ শতাংশ নীচে।

ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি ছাড়াও দেশটির সামাজিক পরিস্থিতি নিয়েও পর্যবেক্ষণ দিয়েছে আইএমএফ। সংস্থাটি ভারতের বিতর্কিত নাগরিকত্ব নিয়ে নতুন আইন (সিএএ)-র বিরুদ্ধে বিক্ষোভের দিকে কড়া নজর রাখা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে। আর আগামী এপ্রিলে এই বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনাও করবে তারা।

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) ও জাতীয় নাগরিকপঞ্জির (এনআরসি) বিরুদ্ধে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ-হিংসায় উত্তাল। ওই বিক্ষোভে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছেন সাধারণ মানুষ, শিক্ষার্থী ও বিশিষ্টজনরা। দুটি আইনেরই কড়া বিরোধিতা করে আসছে পশ্চিমবঙ্গসহ বেশ কিছু রাজ্য সরকারও।

তবে এই দুই বিষয় নিয়ে আইএমএফের গীতা সরাসরি কোনও মন্তব্য করেননি। এনডিটিভিতে বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘ভারতের সম্পর্কে বিশেষ কিছু বক্তব্য নেই।’

তবে ভারত সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ নিয়ে আইএমএফ যে পর্যালোচনা করবে তা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিষয়টির গতিবিধির ওপর নজর রাখা হবে। এপ্রিলে আমাদের পরবর্তী পর্যালোচনায় তা কোথায় দাঁড়ায়, সেটাও দেখব।’

গত সোমবার সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ৫০তম বার্ষিক সম্মেলন শুরু হয়েছে। ওই আসরে বিশ্ব অর্থনীতির একটি সামগ্রিক ছবি তুলে ধরেছে আইএমএফ। স্বাভাবিক ভাবেই আর্থিক বিষয়ের পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সামাজিক পরিস্থিতি নিয়েও পর্যবেক্ষণ রয়েছে সংস্থাটির।

‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক’ রিপোর্টে আইএমএফ বলছে, বিশ্বের বহু দেশে সামাজিক অস্থিরতা তীব্রতর হচ্ছে। বেশ কিছু ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানগুলির উপর আস্থাহীনতার প্রতিফলন ঘটছে। এ বিষয়গুলি সমাধানের কোনও সংস্থান প্রশাসনিক পরিকাঠামোয় নেই বলেও মনে করছে আইএমএফ।

সম্প্রতি লাতিন আমেরিকার চিলি ও হংকংয়ের বিক্ষোভের বিষয়ে ইঙ্গিত করে গীতা বলেন, ‘ওই দুই দেশেই প্রতিষ্ঠান-বিরোধী প্রবল বিক্ষোভের নানা কারণ রয়েছে। সামগ্রিক উন্নয়নের জন্যই সমাজের পিছিয়ে পড়া অংশের স্বার্থরক্ষা করাটা খুবই জরুরি। যাতে, উন্নয়নের লক্ষ্যে তারা পিছনের সারিতে চলে না যায়।’

(ঢাকাটাইমস/২১জানুয়ারি/ডিএম)