উল্লাপাড়ায় অসময়ে নদীভাঙন শুরু

প্রকাশ | ২১ জানুয়ারি ২০২০, ১৫:২১ | আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২০, ১৫:৫৯

লিখন আহমেদ, ঢাকাটাইমস

শীত ও শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার তিয়োরহাটী গ্রামে ফুলজোড় নদীর পার ভাঙতে শুরু হয়েছে। ভাঙনের হাত থেকে রেহাই পেতে অনেকেই নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছেন ঘরবাড়ি, সহায় সম্বল। ভাঙন রোধে অবিলম্বে ব্যবস্থা না নেয়া হলে নদীর তীরবর্তী জনপদের বিস্তীর্ণ এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার তিয়োরহাটী, আমডাংগা ও নূরনগর গ্রামে শীত মৌসুমের শুরুতেই ফুলজোড় পারে ভাঙন শুরু হয়েছে। নদীর পানি কমায় একদিক দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় সঙ্গে ক্রমেই বাড়ছে নদী ভাঙনের তীব্রতা। প্রতিনিয়ত বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি, বসতভিটা ও গাছপালা। এতে ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন দরিদ্র কৃষিজীবী ফুলজোড় পারের মানুষ।

এরই মধ্যে ওই এলাকার ১০-১২টি বসতভিটা বিলীন হয়ে গেছে নদীগর্ভে। শতাধিক পরিবার তাদের ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে।

এ বিষয়ে কথা হয় বড়হর ইউনিয়নের তিয়োরহাটী গ্রামের নদী পারের বাসিন্দা হানিফ সরদার, হাফিজা বেগম, কালা চাঁদ সরদারসহ অনেকের সঙ্গে। তারা বলেন, গত ১৫ দিনে ফুলজোড় নদী ভাঙনে তাদের গ্রামের বেশ কয়েকটি বাড়ি ফুলজোড় নদীগর্ভে চলে গেছে।

তারা আরও বলেন, হঠাৎ করে নদী ভাঙন শুরু হওয়ায় গ্রামের অনেকে তাদের ভিটামাটি ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন।

উল্লাপাড়া উপজেলার বড়হর ইউনিয়নের সাবেক সদস্য শামীম রেজা নবী বলেন, শীত মৌসুমের আগেই হঠাৎ করে ফুলজোড় নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে বড়হর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে ভাঙন দেখা দিয়েছে। তিনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাছে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান।

নদী ভাঙনকবলিত এলাকার চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম নান্নু বলেন, এখনই ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেয়া না হলে ফুলজোড় পারের দরিদ্র মানুষ বসতবাড়িসহ ফসলি জমি হারিয়ে আরো নিঃস্ব হয়ে পড়বে।

তবে নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে নদীভাঙন শুরু হলেই ভাঙন রোধের নামে সরকারি অর্থ লুটপাটের তোড়জোড় শুরু হয়। যা শুধুই অপচয় মাত্র।

স্থানীয়দের দাবি, নদীভাঙন রোধে টেকসই ব্যবস্থা নেয়া দরকার। শীত মৌসুমেও ভাঙছে সিরাজগঞ্জের ফুলজোড় নদীর পার।

(ঢাকাটাইমস/২১জানুয়ারি/কেএম/জেবি)