শীতে পোষা প্রাণীর বিশেষ যত্ন
সখের বশে অনেকেই বাড়িতে পশুপাখি পালন করে। বিভিন্ন প্রজাতির কুকুর, বিড়াল, খরগোশ ও পাখি অন্যতম। মানুষের যেমন শীতে যত্ন নিতে হয় তেমনি পশুপাখিরও কিছুটা যত্নের প্রয়োজন। না হলে নানান অসুখে ভূগতে পারে। এমনকি কষ্টের টাকায় কেনা সখেরপ্রাণীটি মারাও যেতে পারে।
এই শীতে কী করণীয় ভালোবাসার পোষ্য প্রাণীটির জন্য? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
বিছানা
এবার অনেক ঠান্ডা পড়ছে। সুতরাং এই অবলা ভালোবাসার প্রাণীদের সুরক্ষায় ঠান্ডার সময় ওকে যে কাপড়ের বিছানায় শুতে দেবেন, মনে রাখবেন সেটা যেন সুতির কিংবা মাইক্রো-ফাইবারের হয়। কখনওই তা যেন নাইলন বা পলিয়েস্টারের না হয়। কারণ এই কাপড় ওর পক্ষে খারাপ হতে পারে।
পোশাক
এখন থেকেই আপনাকে মাথায় রাখতে হবে, আপনার পোষ্যের শীতের যত্নের কথা। কারণ এটা ঠিক, আপনার লোমশ পোষ্যের গায়ের চামড়া আলাদা। তার ত্বক আপনার ত্বকের চেয়ে মোটা। তাই বলে ভাববেন না, তার শীত কম। বরং জানবেন মানুষের মতোই তার গায়েও সমান শীত লাগে। তাই তার জন্যও কিনতে হবে শীতের পোশাক।
সে ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, আপনার পোষ্যের শীতের পোশাক যেন তার গায়ে টাইট না হয়। আর তা যেন সঠিক মাপের হয়। আর সেই পোশাক কেনার সময়, তার জন্য জুতা কিনতে ভুলবেন না। কারণ জানবেন, সেই জুতা তাকে ঘরের মেঝের ঠান্ডার হাত থেকে অনেকখানি বাঁচাবে।
নারিকেল তেল লাগানো
এই শীতে যখন আপনার পোষ্য রাতে ঘুমাতে যাবে, তখন মনে করে নিয়মিত তার পায়ে নারিকেল তেল লাগাতে ভুলবেন না। কারণ জানবেন, তার পায়ে বা থাবায় এই নারিকেল তেল লাগালে তার থাবায় ময়শ্চারের কাজ করবে।
কম খাবার দেওয়া
এই ঠান্ডার সময় ওদের কখনওই বেশি খাবার দেবেন না। আপনার পোষ্য যদি, একটু পেটুকও হয়, তা হলে একবারে বেশি খাবার না দিয়ে, তিন-চারবারে তাকে খেতে দিন।
নিয়মিত ব্যায়াম করানো
বাইরের রাস্তায়-মাঠে নিয়ে গিয়ে তো বটেই, এই সময় আপনার পোষ্যকে নিয়মিত ঘরের মধ্যেও নানা এক্সারসাইজে ব্যস্ত রাখুন, যাতে সে কিছুতেই অতিরিক্ত ক্যালরি না শরীরে আনতে পারে।
গ্রুমিং করানো
শীতে আপনার পোষ্যর ডেইলি গ্রুমিংয়ের দিকে অবশ্যই নজর দিতে হবে।
পা পরিষ্কার করানো
রাস্তা-মাঠ থেকে হেঁটে আসার পর, তার পা পরিষ্কার করতে ভুলবেন না।
গরম কাপড় দেওয়া
শীতে পোষ্যের গায়ে গরম জামা, রাতে লেপ-কম্বল দিতে ভুলবেন না।
ঢাকাটাইমস/২১জানুয়ারি/এস=এস