ইবি ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০

প্রকাশ | ২১ জানুয়ারি ২০২০, ২৩:০৩

ইবি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

দুই নেতার প্রবেশ নিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ইবি ছাত্রলীগ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিবসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার দুপুরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, দুপুরে কর্মীদের মাধ্যমে অবাঞ্ছিত শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম পলাশ ও সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিব ক্যাম্পাসে ঢোকার চেষ্টা করেন। এ সময় বিদ্রোহী গ্রুপের নেতাকর্মীরা তাদের বাধা দিলে প্রধান ফটকের সামনে এ সংঘর্ষ বাধে। এ সময় তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় ছাত্রলীগ সম্পাদক রাকিবকে আটক করেছে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ।

নেতাকর্মীরা জানান, শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারে এমন সংবাদে সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয় বিদ্রোহী গ্রুপের নেতাকর্মীরা। পরে দুপুরে লাঠি সোটা নিয়ে বহিরাগতসহ  প্রায় ২০ জন কর্মী নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক দিয়ে ক্যাম্পাসে ঢোকার চেষ্টা করেন সভাপতি-সম্পাদক। এ সময় পদবঞ্চিত গ্রুপের নেতাকর্মীরা তাদের াঁধা দিলে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে পদবঞ্চিত গ্রুপের হামলায় ছত্রভঙ্গ হয়ে ক্যাম্পাস ছেড়ে পালান সভাপতি-সম্পাকদের নেতাকর্মীরা।

এ সময় ৩ টি ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটান উভয় গ্রুপের কর্মীরা। সংঘর্ষে শাখা ছাত্রলীগ সম্পাদক সহ দুই গ্রুপের অন্তত ২০ জন গুরুতর আহত হন। সাধারণ সম্পাদক রাকিবকে বেধড়ক পেটান বিদ্রোহী গ্রুপের নেতাকর্মীরা। পরে আহতদের বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কুষ্টিয়া মেডিকেলে পাঠানো হয়।

ক্যাম্পাসে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় ছাত্রলীগ সম্পাদক রাকিবকে গ্রেপ্তার করেছে কুষ্টিয়া থানা পুলিশ। এছাড়া ঘটনা তদন্তে ড. সেলিনা নাসরিনকে আহবায়ক করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন ড. তপন কুমার জোদ্দার ও মোস্তফা জামান হ্যাপি।

এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্ম্মন বলেন, “এ ঘনটায় ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত করে জড়িতদের বিচারের আয়তায় আনা হবে।”

শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল ইসলাম পলাশ বলেন, “সকালে আমাদের কর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে আমরা বিক্ষোভ মিছিল করছিলাম। সেখানে তারা আমাদের ওপর হামলা করলে সম্পাদকসহ আমাদের কয়েকজন কর্মী আহত হয়।”

বিদ্রোহী গ্রুপের ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন,“এই কমিটি অর্থের বিনিময়ে নিয়ে আসা হয়েছে। তাই সাধারণ কর্মীরা তাদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে। তারা বহিরাগত সহ ক্যাম্পাসে আসলে সাধারণ কর্মীরা তাদের প্রতিহত করেছে।”

ঢাকাটাইমস/২১জানুয়ারি/ইএস