মানুষের শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা কত?

স্বাস্থ্য ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২২ জানুয়ারি ২০২০, ১৬:৪০

আমাদের দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা উত্তরোত্তর কমতে শুরু করেছে। কিছুটা উদ্বেগজনকভাবেই। উষ্ণতাই যে জীবনের মানদণ্ড। শীতলতা মৃত্যুর পরিচায়ক।

স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘স্কুল অব মেডিসিন’-এর সাম্প্রতিক গবেষণা জানিয়েছে, ১৬০ বছর বা তার কিছুটা বেশি সময় আগে আমাদের দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা যা ছিল, সেই উনিশ শতকের উষ্ণতা আমরা ধরে রাখতে পারিনি। দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা কমে গিয়েছে ১ ডিগ্রি ফারেনহাইটেরও বেশি। উন্নততর একুশ শতকে পৌঁছে।

ফলে, জ্বর মাপার সময় থার্মোমিটারে যে তাপমাত্রাকে (৯৮.৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট) আমরা স্বাভাবিক বলে ধরে নিই, তা-ও এখন অ-স্বাভাবিকই! গত ২০০ বছরে সেই স্বাভাবিকতা নেমে পৌঁছেছে ৯৭.৫ ডিগ্রি ফারেনহাইটে। কমেছে মহিলাদের দেহের তাপমাত্রাও। তবে সেই হার পুরুষের তুলনায় সামান্য কম। মহিলাদের শরীরের গড় স্বাভাবিক তাপমাত্রা এখন ৯৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট।

অর্থাৎ ২০২০ সালে এসে সেই পুরনো হিসাব এখন আর চলবে না। বর্তমানে পুরুষদের ক্ষেত্রে ৯৭.৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট আর মহিলাদের ক্ষেত্রে ৯৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট মানতে হবে।

১৬০ বছর আগে জার্মান চিকিৎসক ভান্ডারলিচ যখন হিসাবটা কষেছিলেন, তখন আমাদের গড় আয়ু ছিল মাত্র ৩৮ বছর। যক্ষা থেকে সিফিলিস এবং নানা রকমের প্রদাহে তখন আকছার মৃত্যু হত মানুষের।

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেহের গড় স্বাভাবিক তাপমাত্রা কমে যাওয়া আর প্রদাহে আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সেই তাপমাত্রা বাড়ার ঘটনার রেকর্ড থেকেই বোঝা যাচ্ছে, কেন তরুণ প্রজন্মের গা প্রবীণদের চেয়ে তুলনায় বেশি গরম। বিভিন্ন রকমের প্রদাহে বেশি আক্রান্ত হয় তরুণ প্রজন্মই। তার ফলে তাঁদের দেহের গড় স্বাভাবিক তাপমাত্রা বাড়ে।

আর সেই তাপমাত্রা কমে যায় প্রদাহ কমানোর ওষুধ (‘অ্যাসপিরিনে’র মতো ‘অ্যান্টি-পাইরেটিক ড্রাগ’) খাওয়ায়। আর সেটা তরুণদের ক্ষেত্রেই ঘনঘন হয়। দু’শো বছর আগে এই সব ওষুধ ছিল না। তাই তার যথেচ্ছ ব্যবহারও ছিল অসম্ভব। ফলে, সেই সময় কোনও তরুণের দেহের গড় স্বাভাবিক তাপমাত্রা এখনকার চেয়ে বেশি ছিল।

আর একটি কারণ, আমাদের বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া ও বিপাক প্রক্রিয়ার হারের বাড়া-কমা। ওই প্রক্রিয়াগুলো আমাদের দেহের তাপমাত্রা বাড়ায়। ছুটলে, ব্যায়াম করলে, পরিশ্রম করলে যেগুলোর হার বাড়ে। আগেকার মানুষ অনেক বেশি পরিশ্রম করতেন। ফলে, তাদের বিপাক ও অন্যান্য শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ার হার ছিল অনেক বেশি। তাই তাদের দেহের গড় স্বাভাবিক তাপমাত্রাও ছিল বেশি। কিন্তু আমাদের জীবন এখন উত্তরোত্তর হয়ে পড়ছে পরিশ্রমবিহীন। আয়েসি। যন্ত্রনির্ভর আধুনিকতার ফলে, আমরা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছি।

(ঢাকাটাইমস/২২জানুয়ারি/আরজেড/এজেড)

সংবাদটি শেয়ার করুন

স্বাস্থ্য বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

স্বাস্থ্য এর সর্বশেষ

করোনায় ধূমপায়ীদের মৃত্যু হার ৩ গুণ বেশি: গবেষণা

বিদায়ী উপাচার্যের অনিয়ম-দুর্নীতির প্রশ্নে যা বললেন ডা. দীন মোহাম্মদ

বিএসএমএমইউতে নতুন উপাচার্যকে বরণ করতে ব্যাপক প্রস্তুতি  

অ্যানেস্থেসিয়ায় হ্যালোথেন ব্যবহার বন্ধ করতে বললো স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, কেন এ নির্দেশ?

হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায় বাদাম!

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ইনসাফ বারাকাহ হাসপাতালে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

বিশ্ব যক্ষ্মা দিবসে জানুন সংক্রামক এ রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত

মৃগী রোগ সম্পর্কে কতটা জানেন? এর লক্ষণ আর চিকিৎসাই বা কী?

এক যুগ আগেই জানা যাবে আপনি মূত্রাশয়ের ক্যানসারে আক্রান্ত কি না

কীভাবে চিনবেন প্রাণঘাতী অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসার? বাঁচতে হলে জানুন

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :