নেত্রকোণায় ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে মাদ্রাসাশিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধন

প্রকাশ | ২২ জানুয়ারি ২০২০, ২০:২২

নেত্রকোণা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় মাদ্রাসাশিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে ধর্ষণের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ  হয়েছে। বুধবার বেলা ১১টার দিকে কেন্দুয়া উপজেলার রোয়াইলবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের সামনের সড়কে এই মানববন্ধন পালিত হয়।

মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন- স্থানীয় জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহাতাব উদ্দিন, রোয়াইলবাড়ী ফাজিল মাদ্রাসার প্রভাষক আলী উছমান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শাইখ সিরাজসহ অন্যরা।

মানববন্ধনে শিক্ষক মাহাতাব উদ্দিন বলেন,  রোয়াইলবাড়ী কওমি মাদ্রাসার সুপার আব্দুল হালিম সাগর ৫ম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। এই সুপার শিক্ষক নামের নরপশু। তাকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানান। 

মানববন্ধনে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ এলাকার নানা শ্রেণি-পেশার লোকজন অংশ নেন।

কেন্দুয়ার রোয়াইলবাড়ী বাজারে প্রতিষ্ঠিত আশরাফুল উলুম জান্নাতুল মাওয়া মহিলা মাদ্রাসাটির প্রতিষ্ঠাতা সুপার আব্দুল হালিম সাগরের বিরুদ্ধে মাদ্রাসার ওই ছাত্রীকে (১২) ধর্ষণ করে চার মাসের অন্তঃসত্তা  করার অভিযোগে থানায় মামলা হয়।

কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় রবিবার কেন্দুয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছেন ছাত্রীটির বাবা।

ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা জানান, গত ১৬ জানুয়ারি রাতে হঠাৎ মেয়েটির পেটে ব্যথা হয়। এক পর্যায়ে রক্তক্ষরণ হলে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি নজরে আসে। মেয়েকে জিজ্ঞেস করলে সে জানায়, কয়েক মাস আগে মাদ্রাসার হুজুর আব্দুল হালিম সাগর তার সঙ্গে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে মারাত্মক অসুস্থ হওয়ায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বর্তমানে নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ছাত্রীটি।

ওসি রাশেদুজ্জামান জানান, পুলিশ অভিযুক্তকে  ধরতে অভিযান চালাচ্ছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পেমই তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ উজায়ের আল মাহমুদ আদনান জানান, আসামি বাড়ি-ঘরে তালা দিয়ে পালিয়েছে। তাকে ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/২২জানুয়ারি/কেএম/এলএ)