গণতন্ত্র সূচকে দশ ধাপ পেছাল ভারত

প্রকাশ | ২২ জানুয়ারি ২০২০, ২০:৫০ | আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২০, ২২:২০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস

বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ), সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল, জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি), বন্দিশালা নির্মাণ, জিডিপি’র হার ক্রমাগত হ্রাসের পরিস্থিতির মধ্যেই ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ)-র বৈশ্বিক গণতান্ত্রিক সূচকে ১০ ধাপ পিছিয়েছে ভারত।  

১৯৪৬ সাল থেকে যাত্রা শুরু করে ইকোনমিস্ট পত্রিকার সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইআইইউ। বিশ্বের কোন দেশের সরকার কতটা সক্রিয়, দেশের নির্বাচন প্রক্রিয়া কতটা স্বচ্ছ, নাগরিক অধিকার কতটা সুরক্ষিত, রাজনৈতিক সংস্কৃতি কেমন, দেশের মানুষ রাজনীতির সঙ্গে কতটা যুক্ত, তা বিচার করে ২০০৬ সাল থেকে বৈশি^ক গণতন্ত্র সূচক প্রকাশ করে আসছে ইআইইউ।

১৬৭টি দেশের গণতন্ত্রের ওপর মোট ৬০টি ইনডিকেটরের ভিত্তিতে তৈরি করা তাদের তালিকায় সর্বোচ্চ পয়েন্ট ধরা হয় ১০।

২০১৯ সালের সূচকে ৬ দশমিক ৯০ পয়েন্ট নিয়ে ভারতের অবস্থান ৫১ তম। ২০১৮ সালে ৭ দশমিক ২৩ পয়েন্ট নিয়ে ভারতের অবস্থান ছিল ৪১তম।  

এই পতনের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ভারত সরকারের সাম্প্রতিক বেশ কিছু সিদ্ধান্তকে দায়ী করেছে ইআইইউ। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি। 

প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের আগে কাশ্মীর উপত্যকায় বিশাল সংখ্যক সামরিক বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করেছিল ভারত। সেখানে কারফিউ জারি, ইন্টারনেট সেবা বন্ধ, সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রীকে গৃহবন্দীসহ হাজার হাজার কাশ্মীরের নাগরিককে গ্রেপ্তারের অভিযোগ রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে। 

প্রতিবেদনে বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন সম্পর্কে বলা হয়, মোদি সরকারের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ দেশের মুসলিমরা। তারা আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে। ভারতে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরিতে আইনটি ইন্ধন জুগিয়েছে বলে মনে করছে ইআইইউ। 

কিন্তু ১০ ধাপ পিছিয়ে গেলেও ইআইইউর সূচক অনুযায়ী, সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে ভারত। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৬ সাল থেকে এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের দেশগুলো আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতির পাশাপাশি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় যথেষ্ট উন্নতি করছে। মহাদেশভিত্তিক গণতন্ত্র সূচকে শীর্ষে রয়েছে উত্তর আমেরিকা ও পশ্চিম ইউরোপ। তাদের মোট পয়েন্ট যথাক্রমে ৮ দশমিক ৫৯ ও ৮ দশমিক ৩৫।

সূচকের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে কার্যকর গণতন্ত্র রয়েছে ২২টি দেশে। আর ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র রয়েছে ৫৪টি দেশে। হাইব্রিড শাসন ব্যবস্থা রয়েছে ৩৭টি দেশে। আর কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থা কার্যকর রয়েছে ৫৪টি দেশে।

(ঢাকা টাইমস/২২জানুয়ারি/আরআর)