ঢাকার দুই সিটিতে ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্র ১৮

১০০ নম্বরে ৯৫ নিয়ে নির্বাচন এগিয়ে যাচ্ছে: ইসি সচিব

প্রকাশ | ২২ জানুয়ারি ২০২০, ২২:০২

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ভোটে ১৮ ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র রয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর। তিনি বলেছেন, তবে এসব কেন্দ্রে খারাপ কিছু হওয়ার আশঙ্কা নেই। নির্বাচনের পরিবেশ ভালো আছে। ১০০ নম্বরের মধ্যে ৯৫ নম্বর নিয়ে ভোটের কার্যক্রম এগিয়ে যাচ্ছে বলে দাবি করেছে তিনি।

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ইসির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান ইসি সচিব।

মো. আলমগীর বলেন, গোয়েন্দাদের রিপোর্টে বলা হয়েছে মোট ১৮টি কেন্দ্র শুধু ঝুঁকিপূর্ণ। তাছাড়া তাদের কাছে এ ধরনের রিপোর্ট নাই যে এখানে খারাপ কিছু হতে পারে। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে এমন কিছু হতে পারে তার রিপোর্টও তাদের কাছে নেই। সব সময়ই তারা সতর্ক আছেন, কোনো সমস্যা থাকলে তারা ব্যবস্থা নেবেন।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৪০ হাজার সদস্য ভোটে মাঠে থাকবে বলে জানান ইসির সিনিয়র সচিব। কেন্দ্রভিত্তিক সাধারণ কেন্দ্রে ১৬ ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৮ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য থাকবেন। এছাড়া স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবে র‌্যাব-বিজিবি।  কেন্দ্রে সংখ্যা বুথ ও ভোটারসংখ্যা অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হবে।

ইসি সচিব বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকরী বাহিনীগুলোর প্রধান এবং প্রতিনিধিরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে ভোট সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠানের বিষয়ে কমিশনের বক্তব্য তুলে ধরা হয়। তার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকরী বাহিনীগুলোর দায়িত্বের দিকগুলো মনে করিয়ে দেওয়া হয়।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যা যা করণীয় সে ব্যাপারে বাহিনীগুলো সচেতন রয়েছেন বলে সভায় জানানো হয়। বলেন ইসি সচিব।

নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি কিছু প্রস্তুাব দেওয়া হয়েছে জানিয়ে ইসি সচিব বলেন, ‘তারা আমাদের সবগুলো প্রস্তাব মেনে নিয়েছে। তবে ভোটারদের ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে চলাচলের বিষয়ে যে প্রস্তাব ছিল সেটির বিষয়ে তারা দ্বিমত করেছে। কমিশন তা মেনে নিয়েছে।’

নির্বাচনের পরিবেশ ভালো আছে বলে জানান ইসি সচিব। বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে ১০০ নম্বরের মধ্যে ৯৫ নম্বর নিয়ে ভোটের কার্যক্রম এগিয়ে যাচ্ছে।  উত্তরের যে অভিযোগটি এসেছে সেটার ক্ষেত্রেও সাথে সাথে নির্বাচন কমিশন রিটার্নিং অফিসারকে নির্দেশ দিয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং ওসিকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনা আর একটিও না ঘটে।’

এদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা;ের বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে ইসি সচিব বলেন, নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত আচরণবিধির গুরুতর লঙ্ঘন কিংবা গুরুতর নির্বাচনী অপরাধ সংগঠনের কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। নির্বাচনের দুই দিন আগে আরও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে। তখন পরিস্থিতি আরো ভালো হবে বলে আশা করেন তিনি।

ইসির পক্ষ থেকে বৈঠকে অংশ নেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা, নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম এবং অতিরিক্ত সচিব মোখলেছুর রহমান। আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে বৈঠকে ছিলেন মহাপুলিশ পরিদর্শক, অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, র‌্যাব, আনসার ও ভিডিপি, ডিজিএফআই, এনএসআইয়ের মহাপরিচালক, বিভাগীয় কমিশনার, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, ঢাকা রেঞ্জের উপমহাপুলিশ পরিদর্শক, ঢাকা জেলা প্রশাসক ও ঢাকার পুলিশ সুপার।

এ ছাড়া ঢাকা অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটির রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার উপস্থিত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/২২জানুয়ারি/জেআর/মোআ)