বালুমহাল নিয়ে বিপাকে রাজশাহীর দুই ইজারাদার

ব্যুরো প্রধান, রাজশাহী
 | প্রকাশিত : ২২ জানুয়ারি ২০২০, ২২:০৯

বালুমহাল ইজারা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন রাজশাহীর দুই ব্যক্তি। ইজারার শর্ত অনুযায়ী নদী তীরের দেড় থেকে দুই কিলোমিটার দূরে গিয়ে তাদের বালু নিয়ে আসতে হবে। কিন্তু ইজারাদারদের দাবি, দুই কিলোমিটার দূরে ভারতীয় সীমানা অথবা নো-ম্যানস ল্যান্ড। সেখানে যাওয়া সম্ভব নয়।

এ দুই ইজারাদার হলেন- রজব আলী ও আনোয়ার হোসেন। রজব তার ‘রজব অ্যান্ড ব্রাদার্স’ ও আনোয়ার তার ‘উম্মে রোমান এন্টার প্রাইজ’ প্রতিষ্ঠানের নামে চড়া মূল্যে এক বছরের জন্য বালুমহাল দুটি ইজারা নিয়েছেন। কিন্তু নদী তীর থেকে দুই কিলোমিটার দূরে না যাবার কারণে বুধবার প্রশাসন বালুমহাল দুটি বন্ধ করে দিয়েছে। এতে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন বলে দাবি এ দুই ইজারাদারের।

আনোয়ারের বালুমহাল জেলার পবা উপজেলার চর হরিপুর, মদনপুর ও কসবা মৌজায়। আর রজবের বালুমহাল রাজশাহী নগরীর উপকণ্ঠ হাড়পুর ও নবগঙা মৌজায়। আনোয়ার এ বছর বালুমহালটি চার কোটি ৯২ লাখ টাকায় ইজারা নিয়েছেন। রজবও দাম দিয়েছেন প্রায় ছয় কোটি টাকা। অথচ এ দুটি বালুমহালের ইজারামূল্য অতীতে কখনই তিন-চার লাখ টাকার বেশি ওঠেনি।

পবা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবুল হায়াত বলেন, বালু উত্তোলনের ইজারা শর্ত ভঙ্গ করায় দুটি বালুমহালে অভিযান পরিচালনা করে তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এর আগে গত ১৪ জানুয়ারি একই অভিযোগে দুটি বালুমহালকে ৫০ হাজার করে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

ইজারাদার রজব আলী বলেন, বালুমহাল বন্ধ করে দেয়ার কারণে তিনি বড় অংকের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। তিনি বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে এলাকায় বালু উত্তোলন করতে বলা হচ্ছে, তা ভারতীয় সীমানা বা নো-ম্যানস ল্যান্ড। সেখান থেকে বালু উত্তোলন সম্ভব নয়। তিনি বালুমহাল খুলে দেয়ার দাবি জানান।

আরেক ইজারাদার আনোয়ার হোসেন বলেন, বালুমহাল ইজারার আগে হাইড্রোলিক জরিপ করার কথা। ইজারার কাগজে এলাকা, মৌজা, দাগ নম্বর উল্লেখ করে সেখানে সাম্ভাব্য বালুর পরিমাণ উল্লেখ করার কথা। কিন্তু এসব কিছুই নেই। তবে শর্ত আছে পাড় থেকে দেড় থেকে দুই কিলোমিটার দূরে বালু উত্তোলন করতে হবে। কিন্তু সেটা ভারতীয় সীমানা অথবা নো-ম্যানস ল্যান্ড। সেখানে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই আমরা যেন নদী তীরের এক কিলোমিটার দূরে গিয়েই বালু তুলতে পারি সেই দাবি জানাই।

জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক হামিদুল হক বলেন, ইজারা দেয়া হলেও ইজারাদাররা শর্ত অনুযায়ী বালু তুলছেন কি না সেটা দেখতে বালুমহালে অভিযান চালানো হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সব বালুমহালেই অভিযান চলবে। ইজারাদারদের ক্ষতির বিষয়ে জেলা প্রশাসক কোনো কথা বলতে চাননি।

(ঢাকাটাইমস/২২জানুয়ারি/কেএম/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :