২২তম স্প্যানে দৃশ্যমান পদ্মা সেতুর ৩৩০০ মিটার
প্রকাশ | ২৩ জানুয়ারি ২০২০, ১৩:৩৬
স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে বসানো হয়েছে ২২তম স্প্যান। বৃহস্পতিবার সকালে সেতুর মাওয়া প্রান্তের ৫ ও ৬নং পিয়ারের উপর স্প্যান ‘ওয়ান-ই’ বসানো হয়। এর মধ্যে দিয়ে সেতুটির তিন হাজার ৩০০ মিটার দৃশ্যমান হয়েছে।
বেলা ১১টা ৩২ মিনিটে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের স্প্যানটি পিয়ারের উপর বসানোর কাজ সম্পন্ন হয় বলে ঢাকা টাইমসকে নিশ্চিত করেন পদ্মা সেতু প্রকল্পের সহকারী প্রকৌশলী মো. হুমায়ন কবির।
প্রকৌশলী সূত্রে জানা যায়, সকাল ৯টার দিকে মুন্সীগঞ্জের কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ভাসমান ক্রেন ‘তিয়ান ই’ ধূসর রঙের তিন হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটি বহন করে নির্ধারিত পিয়ারের দিকে রওনা হয়। দূরত্ব কম হওয়ায় সেতুর পাঁচ ও ছয় নম্বর পিয়ারের কাছে পৌঁছায় সকাল সোয়া ৯টার দিকে। এরপর ধীরে ধীরে স্প্যান বসানো হয় পিয়ারের উপর। আবহাওয়া অনুকূলে থাকা এবং কারিগরি ত্রুটি দেখা না দেওয়ায় অল্প সময়ের মধ্যেই স্প্যানটি সফলভাবে বসানোর কাজ সম্পন্ন হয়।
বুধবার পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আব্দুল কাদের জানিয়েছিলেন, স্প্যানটি ২৫ জানুয়ারি বসানোর পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু ওই দিন চাইনিজ নিউ ইয়ার থাকায় দুই দিন এগিয়ে আনা হয়েছে। কারণ পদ্মা সেতুতে অনেক কর্মকর্তা, প্রকৌশলী ও কর্মী চীনের।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যানটি বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। এরপর একে একে বসানো হলো ২২টি স্প্যান। প্রতিটি স্পেনের দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার। ৪২টি পিলারের ওপর ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে সবকটি পিলার এরই মধ্যে দৃশ্যমান হয়েছে। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছে বাংলাদেশের আবদুল মোমেন লিমিটেড। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো।
পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ সম্পন্ন হওয়ার পর ২০২১ সালের মধ্যেই বহুল কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের এই সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়ার কথা রয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/২৩জানুয়ারি/জেবি)