পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত

প্রকাশ | ২৩ জানুয়ারি ২০২০, ১৬:৫৭ | আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২০, ১৮:৩৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে সমন্বিত পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। মানবিক, ব্যবসায় ও বিজ্ঞান বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা উচ্চ মাধ্যমিকের পাঠ্যসূচির ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা প্রশ্নপত্রে সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে অনুষ্ঠিত সমন্বিত পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন।

বৃহস্পতিবার ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

অধ্যাপক শহীদুল্লাহ বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতির বিভিন্ন বিষয়ে আলেচনার জন্য ১৯৭৩ এর অধ্যাদেশ বলে গঠিত চারটি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কিছু নির্বাচিত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদরে সঙ্গে শিগগিরই বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।’

‘রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী সমন্বিত পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার জন্য বিভিন্ন সময়ে তাদের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন। গত বছর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের সংগঠন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদ সমন্বিত পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।’

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা ‘দৃঢ়কণ্ঠে সমন্বিত পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার জন্য তাদের অভিমত পুনর্ব্যক্ত করেন’ বলে জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

অধ্যাপক শহীদুল্লাহ আরো বলেন, ‘আজ দেশ ও জাতির আকাঙ্ক্ষা হচ্ছে সমন্বিত পদ্ধতিতে একটি ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হোক, এখানে দ্বিমতের কোনো অবকাশ নেই। আমরা যদি সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করি তাহলে দেশ ও জাতি আমাদের অভিনন্দিত করবে।’

ইউজিসিতে অনুষ্ঠিত এই সভায় সমন্বিত পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা বিষয়ে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক দিল আফরোজা বেগম। কমিশনের সদস্য অধ্যাপত মুহাম্মদ আলমগীর স্বাগত বক্তব্য দেন। আরেক সদস্য অধ্যাপক মো. সাজ্জাদ হোসেন এসময় উপস্থিত ছিলেন।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনে (ইউজিসি) পূর্ণকালীন সদস্য ড. দিল আফরোজা বেগম ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন প্রান্ত ঘুরে ঘুরে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা দিতে হয়। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আলাদাভাবে আলাদা পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হয়। এভাবে ভোগান্তির সাথে একই বিষয়ে ভর্তি হওয়ার পরীক্ষা দিতে তাদের ভিন্ন ভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ভিন্ন ধরনের প্রস্তুতিও নিতে হয়।’

এ সমন্বিত পরীক্ষা পদ্ধতিতে একজন শিক্ষার্থী একবার পরীক্ষা দিলেই চলবে, প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে তাকে গুচ্ছে থাকা কোনো একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হবে, যেভাবে মেডিকেল কলেজগুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়।

দিল আফরোজ বলেন, ‘নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন বাদ দিয়ে প্রশ্ন পদ্ধতিতেও আসতে পারে পরিবর্তন। কারণ নৈব্যত্তিক প্রশ্নে যথাযথ মেধা যাচাই করা সম্ভব নয়। এ লক্ষ্যে নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের পরিবর্তে সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন হতে পারে। এছাড়া প্রশ্নপ্রত্রও ফাঁস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। তবে এটি এখনো আলোচনার মধ্যে আছে। সিদ্ধান্ত হয় নি।

(ঢাকাটাইমস/২৩ জানুয়ারী/টিএটি/ডিএম)