ক্লিন-২১ এ দক্ষিণের ২১ নং ওয়ার্ড বদলে দিতে চান আসাদ

সৈয়দ ঋয়াদ
| আপডেট : ২৩ জানুয়ারি ২০২০, ১৮:২৭ | প্রকাশিত : ২৩ জানুয়ারি ২০২০, ১৭:১৪

ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা প্রচারণায় সরব রয়েছেন। আর সব প্রার্থীদের মতো প্রচারে থাকার পাশাপাশি ওয়ার্ডকে সর্বাঙ্গিন পরিচ্ছন্ন করতে চান ঢাকা দক্ষিণ সিটির ২১ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী সাবেক ছাত্রনেতা আসাদুজ্জামান আসাদ।

ঢাকা দক্ষিণের গুরুত্বপূর্ণ এই ওয়ার্ডের জন্য ক্লিন টোয়েন্টিওয়ান (ক্লিন ২১) নামের বর্জ্য অপসরাণের একটি অ্যাপ তৈরির কাজ শুরু করেছেন তিনি। এই ওয়ার্ডে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় জাদুঘর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, শাহবাগ-বাংলামোটরসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকা।

ওয়ার্ডটিকে নবসময় পরিচ্ছন্ন রাখার প্রয়াস থেকেই এমন উদ্যোগ নিয়েছেন লাঠিম প্রতীক নিয়ে ভোটে থাকা এই কাউন্সিলর প্রার্থী। এছাড়া এখানকার বাসিন্দাদের চাহিদাকে বিবেচনায় নিয়ে তৈরি করেছেন নিজের নির্বাচনী ইশতেহার ‘স্বপ্নযাত্রা’।

আসাদুজ্জামান আসাদ ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলাম। এই এলাকার প্রতিটি অলিগলি আমার চেনাজানা। কোথায় কি সমস্যা তাও আমি জানি। গুরুত্বপূর্ণ ওয়ার্ড হলেও এখানকার বাসিন্দারা অনেক ক্ষেত্রে নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত।’

তিনি এই ওয়ার্ডকে মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, নারীদের জন্য নিরাপদ, আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর এলাকা হিসেবে গড়ার প্রত্যয় তার ‘স্বপ্নযাত্রা’ ইশতেহার তুলে ধরেছেন। বিজয়ী হয়ে ইশতেহার বাস্তবায়ন করাই এখন তার লক্ষ্য।

এই বিষয়ে সাবেক ছাত্রনেতা আসাদ বলেন, ‘এই ওয়ার্ডের প্রতিটি পরিবারই আমার আত্মীয়। তাদের জন্য কিছু করতে হলে নির্বাচনই শেষ কথা নয়। আমি নির্বাচনে ফলের জন্য বসে থাকবো না। কারণ আমার এলাকা পরিষ্কার রাখতে আমি বছরব্যাপী মশক নিধন করেছি। এর জন্য সরকারী সহযোগিতা প্রয়োজন হয়নি।

‘আর ক্লিন-২১ অ্যাপস তৈরি করতে ইতিমধ্যেই আমার স্বপ্নযাত্রার সহযোদ্ধারা কাজ শুরু করেছেন। আমি নির্বাচিত হই বা যিনিই ভোটে জিতে আসুক না কেন তিনি এই অ্যাপসের মাধ্যমে এলাকার সমস্যা সমাধান করতে পারবেন।’

অ্যাপসটি কিভাবে কাজ করবে জানতে ঢাবির প্রাক্তন ছাত্র আসাদ বলেন, ‘এলাকার মানুষ কোথাও অপরিচ্ছন্নতা দেখলেই ছবি তুলে অ্যাপসে আপলোড করতে পারবেন। ৩০ থেকে ৪৫ মিনিটের মধ্যেই পরিচ্ছন্নতাকর্মী গিয়ে সেসব পরিস্কার করে দেবেন। অন্য যে কোনো সমস্যার কথাও নাগরিকরা জানাতে পারবেন অ্যাপসের মাধ্যমে। এটা ২১ নং ওয়ার্ডর মানুষের সব সমস্যার জন্যই তৈরি হচ্ছে, পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাসের মতো গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলো সমাধানের ব্যবস্থা থাকবে এখানে। গুরুত্বপূর্ণ সব নাম্বারের একটি ডাটাবেজও দেওয়া থাকবে অ্যাপসে।’

তিনি বলেন, ‘আমি নির্বাচিত হলে শাহবাগ, পরিবাগ, বাংলামটর এলাকায় সিকিউরিটি গেইটের মাধ্যমের নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। আধুনিক মানসম্মত কমিউনিটি সেন্টার স্থাপন, গুরুত্বপূর্ণ এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা, প্রতিটি স্কুলের সামনে অভিবাবকদের বসার স্থান তৈরি করা, রোড আইল্যান্ডগুলোতে বাহারি রকমের ফুলের চারা রোপন, এছাড়া স্বেচ্ছাসেবী দল গঠন করে শাহবাগ ও নীলক্ষেত এলাকার যানজট নিরসনে কাজ করারও পরিকল্পনা রয়েছে। আমি ২১ নাম্বার ওয়ার্ডকে শ্রেষ্ঠ ওয়ার্ডে পরিণত করতে চাই।’

প্রসঙ্গত, ডেঙ্গুর প্রকোপের সময়ে আসাদ ব্যক্তি উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয় ও আশপাশের এলাকায় এডিস মশার লার্ভা নিধনের উদ্যোগ নেন। টানা ১৫ দিন মশকনিধনের ওষুধ স্প্রে করেন। এজন্য তিনি গড়ে তুলেছিলেন ৪০ জনের নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক দল।

(ঢাকাটাইমস/২০জানুয়ারি/ঋষি/ডিএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :