রাজৈরে বাল্যবিয়ে ভেঙে দিলো প্রশাসন

প্রকাশ | ২৩ জানুয়ারি ২০২০, ২০:৫২

রাজৈর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

বিয়ের সব ধরনের আয়োজন সম্পন্ন। চারদিকে ধুমধামের কমতি নেই কোথাও। কলা গাছ আর রঙ্গিন কাগজ দিয়ে বিয়ের মন্ডব সাজানো হয়েছিল। চারদিকে সানাইয়ে সুর। অতিথিদের পদভারে সরগরম বিয়েবাড়ি। পুরোহিত এসে হাজির। কনেকে সাজিয়ে বসানো হলো পিঁড়িতে। বাড়ির লোকজনের তাড়াহুড়ো, লগ্নের সময় হয়েছে। এমন সময় বাঁধল বিপত্তি। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা পুলিশ নিয়ে বিয়ে বিয়েবাড়িতে হাজির। নিমিষে সব আনন্দ যেন বিষাদে পরিণত হলো। কনের বয়স না হওয়ায় বিয়ে ভেঙে দিল প্রশাসন।

ঘটনাটি ঘটেছে মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার পাইকপাড়া ইউনিয়নের দামের চর গ্রামে বুধবার রাত ৯টার দিকে।

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার নুরুল্লাপুর ইউনিয়নের উচ্চা বাজার এলাকার অচিন্ত রায় তার মেয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীকে গোপনে বিয়ে দিচ্ছিলেন। মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় উমেদপুর এলাকার সুশান্ত রায়ের সঙ্গে গোপনে তার নানা বাড়ি পাশের রাজৈর উপজেলার দামের চর গ্রামে বসে বিয়ে দিচ্ছিলেন।

পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কনে দৌড়ে ঘরের মধ্যে পালিয়ে থাকে। খবর পেয়ে বর আর বিয়ে বাড়িতে পৌঁছাতে সাহস পায়নি। মাঝপথ থেকে বর সুশান্ত রায় সহযাত্রী নিয়ে কেটে পড়লেন। পরে অনেক খোঁজাখুঁজির পর কনে চম্পা রায়কে পাওয়া গেল।

চম্পা রায় জানান, আমি এবার এসএসসি পরীক্ষা দেব। এ সময় আমি বিয়ে করতে চাইনি। বাবা-মা অনেক জোর করে বিয়ে দিচ্ছিল। আমি পড়াশোনা করতে চাই।

রাজৈর উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার জানান, গোপন খবরে জানতে পারি এসএসসি পড়ুয়া এক ছাত্রীকে জোর করে তার বাবা-মা বিয়ে দিচ্ছে। পরে পুলিশ নিয়ে রাতে বিয়ে বাড়ি গিয়ে এ বাল্য বিয়ে ভেঙে দেই এবং বাল্যবিয়ের দায়ে কনের বাবা-মাকে আটক করি। পরে মুচলেকা দেয়ায় তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।

(ঢাকাটাইমস/২৩জানুয়ারি/কেএম/এলএ)