‘বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা একই সূত্রে গাঁথা’

প্রকাশ | ২৪ জানুয়ারি ২০২০, ২২:৩১ | আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০২০, ২৩:৪৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা হোসেন তওফিক ইমাম (এইচটি ইমাম) বলেছেন, বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা একই সূত্রে গাঁথা। একে অন্যের সমার্থক।

শুক্রবার রাতে ৩১তম বিসিএস ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের মুজিববর্ষ ও চাকরিতে যোগদানের সপ্তম বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরে অনুষ্ঠানে চাকরিতে প্রবেশের সপ্তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আলোচনা সভা, প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে ৩১তম গান পরিবেশন করেন সঙ্গীত শিল্পী অঞ্জন দত্ত ও গানের দল সর্বনাম।

অঞ্জন দত্ত একে একে তার জনপ্রিয় গানগুলো পরিবেশন করেন। এসময় হলরুম ভর্তি দর্শকরা মুহুর্মুহু করতালি দিয়ে মুখর করে তোলেন অনুষ্ঠানস্থল।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা একই সূত্রে গাঁথা। একে অন্যের সমার্থক বলে মনে করি। বঙ্গবন্ধু একমাত্র ব্যক্তি যিনি একটি পৃথক জাতিসত্তা, আমরা বাঙালি, আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য ভিন্ন, সংস্কৃতি ভিন্ন সেই বিষয়গুলো তিনি তুলে ধরেছেন। শুধু তাই নয়, আমাদের মধ্যে গেঁথে দিয়েছেন। এরপরই আমরা নিজেদের আলাদা ভাবতে শুরু করেছি। এটাই বঙ্গবন্ধুর সব থেকে বড় অবদান।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু আলোচনা সভায় বলার জন্য তিনি সাংবিধানিকভাবেও জাতির পিতা।

এইচটি ইমাম আরো বলেন, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র সব বিষয় নিয়ে কথা বলে গেছেন বঙ্গবন্ধু। তাই তাকে নিয়ে বেশি বেশি পড়তে হবে, জানতে হবে।

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণের কোথাও গলদ রয়ে যাচ্ছে বলে দাবি করেন এইচটি ইমাম।

তিনি বলেন, আমরা যে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখছি। সুখী, স্বাবলম্বী বাংলাদেশ গড়ার কথা বলছি- তা যারা গড়ে তুলবেন সেই কারিগরদের কতটা প্রস্তত করতে পারছি সেটা চিন্তা করতে হবে।

বিসিএস ক্যাডারদের আলাদা আলাদা সংগঠন না করে একত্রে থাকলে সবার মধ্যে সৌহার্দ, পারস্পারিক বোঝাপড়া ভালো হয় বলেও তিনি মনে করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, দেশ প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। এই অগ্রগতি অনেক দেশের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তিনি বলেন, দেশের অগ্রগতির জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া, সিদ্ধান্তগ্রহণের ধারাবাহিকতার প্রয়োজন ছিল- সেটা এখন হয়ে গেছে। এই অবস্থায় সবাইকে সবার জায়গা থেকে প্রধানমন্ত্রীকে সহযোগিতা করতে হবে। আমাদের গুড গর্ভনেন্স চর্চা করতে হবে।

সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে প্রচলিত শুদ্ধাচার পুরস্কার নিয়ে তিনি বলেন, আমরা শুদ্ধাচার পুরস্কার দেই। প্রশিক্ষণ দেই জুনিয়রদের। কিন্তু আমার তো মনে হয় সিনিয়রদের প্রশিক্ষণ দরকার। কারণ আমরা কি পদোন্নতি, পদায়ন, সুবিধাপ্রদান ও মূল্যায়নের ক্ষেত্রে সেখানে কি শুদ্ধাচারের চর্চা করতে পেরেছি। যদি সেটা পারি, তাহলে আর জুনিয়রদের শুদ্ধাচার নিয়ে বক্তব্য বা প্রশিক্ষণ দিতে হবে না।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্য অনেক কবিতা লিখি, বড় বড় বক্তব্য রাখছি। কিন্তু তিনি দেশকে নিয়ে যা ভাবতেন তেমনটা কি আমরা ভাবছি? সেটা ভাবতে হবে।

প্রধান আলোচক হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন।

হাসান আব্দুল্লাহ তৌহিদ ও মৌমিতা জীনাতের উপস্থাপনায় পুরো আয়োজনে ছিলেন সংগঠনের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল হাদী, সাধারণ সম্পাদক এম আমিনুর রহমান, মুশফিকুর রহমান, আহসান খান (রবিন), মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম, শাহাবুদ্দিন জুয়েল, আরিফুল ইসলাম রাসেল, শরিফুল ইসলাম তানভীর, আবুল খায়ের (হিরো), নুরুননবী সোহাগ, মৃত্যুঞ্জয় সজলসহ সংগঠনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/২৪জানুয়ারি/বিইউ/এলএ)