নারীদের প্রতি পুরুষের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাচ্ছে: গণপূর্ত মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৫ জানুয়ারি ২০২০, ২০:০৮ | প্রকাশিত : ২৫ জানুয়ারি ২০২০, ১৮:১৩

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি বলেছেন, ‘সমাজ ব্যবস্থায় নারীদের প্রতি পুরুষদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন সূচিত হচ্ছে। রক্ষণশীলতা থেকে এখন আমরা অনেকটাই বেরিয়ে এসেছি। এই পরিবর্তন সকলের জীবনে আনতে হবে। সন্তানের পরিবর্তনের শিক্ষা ও ভিত্তি গড়ে দিতে হবে মায়েদের। মায়েরাই আদর্শলিপি, তারাই বাল্যশিক্ষা, তারাই সন্তানের জন্য নৈতিকতা ও মূল্যবোধের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।’

শনিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিসিএস উইমেন নেটওয়ার্কের বার্ষিক সাধারণ সভা ২০২০ এর উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তথ্য কমিশনার ও বিসিএস উইমেন নেটওয়ার্কের সভাপতি সুরাইয়া বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা এমপি ও স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে তথ্য সচিব কামরুন নাহারসহ বিসিএস উইমেন নেটওয়ার্কের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

কোনো কোনো ক্ষেত্রে পুরুষদের চেয়ে নারীদের ধারণ করার শক্তি অনেক বেশী উল্লেখ করে গণপূর্ত মন্ত্রী বলেন, ‘দাপ্তরিক কর্মকাণ্ডে অনেকেই আস্থা ও বিশ্বাসের জায়গা ধারণ করতে পারেন না। এক্ষেত্রে দাপ্তরিক দায়িত্ব নারীরা নিজের মধ্যে সফলভাবে ধারণ করেন বলে আমার মনে হয়। আমি চাই সকলে মিলে এ জায়গা ধারণ করবে।’

নারীদের উদ্দেশে প্রধান অতিথি বলেন, ‘নিজেদেরকে শুধু নারী ভাবা যাবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চোখ বন্ধ করে বিবেচনা করে দেখেন, তাকে দল সামলাতে হয়, প্রশাসনিক দিক সামলাতে হয়ে, মন্ত্রী-এমপিরা কী করছেন তা সামলাতে হয়, বিরোধী দলের রাজনীতি দেখতে হয়, আইন-শৃংখলা বাহিনীর কর্মকাণ্ড দেখতে হয়, বিশ্ব কূটনীতি দেখতে হয়। দেশকে তিনি সফলভাবে অদম্য গতিতে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।’

বিসিএস উইমেন নেটওয়ার্কের সদস্যদের উদ্দেশে মন্ত্রী আরো বলেন, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বড় বড় উন্নত দেশও এরকম নারীদের ফোরাম গঠনের কথা কল্পনা করতে পারেনি। যেটা আপনারা করেছেন। আপনারা এগিয়ে যাচ্ছেন, আপনারা এগিয়ে যাবেন। এভাবে আমরা সবাই এগিয়ে যাবো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবার অদম্য, দুর্বার প্রবহমান স্রোতে সবার একাত্ব হওয়া দরকার।

‘সৌখিনতাকে আমরা যত পরিহার করতে পারি, আমরা তত ভালো থাকবো। সৌখিনতাকে প্রসাধনী বা অলংকার ব্যবহার করা হিসেবে দেখতে চাই না। সৌখিনতা হোক কাজ করার মাধ্যমে সাফল্যের সৌখিনতা। আপনাদের সবার ভেতরে বেগম রোকেয়া, কবি সুফিয়া কামাল, ড. নীলিমা ইব্রাহিম এবং শেখ হাসিনার দুঃসাহসী প্রতিচ্ছবি দেখতে চাই। কারণ এগিয়ে যাওয়ার যুদ্ধে তাঁরা সাফল্য দেখিয়েছেন।

প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, সরকার নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে। এককভাবে সরকারের প্রচেষ্টায় শতভাগ কোনোকিছু করা সম্ভব নয়। দেশে নারীর ক্ষমতায়ন, নারী-পুরুষের সমতার পরও অনেক চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। নারীরা ঐক্যবদ্ধভাবে দায়িত্ব পালন করলে ২০৪১ সালে বাল্যবিবাহ, নারী নির্যাতন আমরা রোধ করতে পারবো। নারীদের সাথে সাথে পুরুষদেরও এগিয়ে আসতে হবে। তাহলে নারীদের সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হবে।

ঢাকাটাইমস/২৫জানুয়ারি/ ইএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :