গৃহপরিচারিকার চুরির ঘটনায় নারীকে হয়রানির অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৫ জানুয়ারি ২০২০, ২৩:০১

দুই নারীকে প্রতিবেশীর বাসায় কাজ দেওয়ার পর তারা চুরি করে পালানোয় এক নারীর বিরুদ্ধে মামলা ও তাকে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। সবিহা নামের ওই নারী দাবি করেছেন, রাস্তায় পরিচয় হওয়া দুই নারীকে তিনি চেনেন না এ কথা প্রতিবেশীকে আগেই জানিয়েছিলেন।

আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে এ অভিযোগ করেন সবিহা খাতুন নামের এক নারী। এ সময় তিনি তার বিরুদ্ধে করা মামলাকে মিথ্যা দাবি করে ন্যায়বিচার চান।

সবিহা জানান, গত বছরের ডিসেম্বরে রাজধানীর কলাবাগান এলাকায় পথে দুই নারীর সঙ্গে পরিচয় হয় তার। কথাবার্তার ফাঁকে সবিহার কাছে বাসাবাড়িতে কাজ চান ওই দুই নারী। তার মনে পড়ে পাশের খোরশেদ নামের এক প্রতিবেশীর স্ত্রী কাজের লোক চেয়েছিলেন। দুই নারীকে তিনি নিয়ে যান ওই বাসায়।

কথাবার্তা শেষে তাদের একজন ওই বাসায় কাজ পান। কথাবার্তার আগেই সবিহা জানান, এই দুই নারীর কেউ তার পরিচিত না। ওই দিন বিকালে কাজ পাওয়া নারী বাসায় চুরি করে পালান। কাজের লোক দেয়া এবং চুরিতে সহায়তার অভিযোগ এনে সবিহাকে পুলিশে দেন খোরশেদ।

সবিহা বলেন, ‘আমার তিন মেয়ের একজনের বিয়ে দিয়েছি। একজন ম্যাট্রিক পরীক্ষা দিবে, একটা ছোট। ওদের কথা চিন্তা করে আমারে এই মিথ্যা মামলা থেকে বাঁচান। আমি কাজের লোক দিছি। কাজের লোক দেওয়া তো অপরাধ না। আমি আগেই বলেছি আমি তাদের চিনি না।’

গত বছরের ১ ডিসেম্বর রাজধানীর কলাবাগান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সবিহার ভাষ্যমতে, কলাবাগানের পূর্ব পান্থপথ এলাকার ফ্রি স্কুল স্ট্রিটে খোরশেদ সাহেবের বাসায় নেয়ার পর তিনি তাকে জানিয়েছিলেন, ওই নারীর সঙ্গে তার পরিচয় রাস্তায়। তিনি তাদের চেনেন না। সব জেনেও তারা একজনকে কাজে রাখেন।

ওই দিন সন্ধ্যায় জরুরি দরকারের কথা বলে খোরশেদের বাসায় সবিহাকে ডেকে পাঠানো হয়। সেখানে গিয়ে তিনি জানতে পারেন, কাজে রাখা ওই নারী বাসা থেকে টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়েছে। কিছুক্ষণের মধ্যে পুলিশ আসে এবং সবিহাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়।

সবিহা অভিযোগ করে বলেন, থানায় নিয়ে তাকে আঘাত-নির্যাতন করে পুলিশ। পরে ৪ তারিখ আদালতে পাঠায়। আদালত থেকে ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। রিমান্ড শেষে তাকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি জামিনে আছেন।

কলাবাগান এলাকার ফ্রি স্কুল স্ট্রিটের ওবায়দুলের বাড়ির ভাড়াটে সাবিহার স্বামী জুয়েল মিয়া কারওয়ান বাজারে শ্রমিকের কাজ করেন। সাবিহা দাবি করেন, তিনি নির্দোষ। মিথ্যা চুরির অপরাধে তাকে ফাঁসানো হয়েছে। ন্যায়বিচারের দাবি জানান তিনি।

(ঢাকাটাইমস/২৫জানুয়ারি/কারই/ইএস/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজধানী বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজধানী এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :