করোনা ভাইরাস: তথ্য কেন্দ্র খুলেছে আইইডিসিআর

প্রকাশ | ২৬ জানুয়ারি ২০২০, ১৪:৪২ | আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২০, ১৬:০১

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

চীনের হুবেইয়ের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া নিউমোনিয়া সদৃশ করোনাভাইরাসের হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহ, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণের জন্য তথ্য কেন্দ্র খুলেছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান-আইইডিসিআর।

রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রবিবার এ তথ্য জানান আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকারের সর্বাত্মক প্রস্তুতির নানা দিক তুলে ধরেন এই কর্মকর্তা।

এরইমধ্যে বিশে^র বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে আক্রান্তের লক্ষণ মিলেছে প্রতিবেশি ভারতেও, এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ আছে কিনা প্রশ্নে সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘এ ভাইরাস নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে সত্যি, কিন্তু এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। আমরা মোটেই উদ্বিগ্ন নই, বাংলাদেশ প্রস্তুত।’

তিনি বলেন, ‘এরইমধ্যে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। করোনাভাইরাসের হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহ, মনিটরিং ও বিশ্লেষণের জন্য আইইডিসিআরে একটি তথ্য কেন্দ্র খোলা হয়েছে।’

এই তথ্য কেন্দ্র থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের (ইউএসসিডিসি) দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা নিয়মিত সভা করে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ করবেন বলেও জানান আইইডিসিনআরের এই কর্মকর্তা।

চীন থেকে আগত ফ্লাইটের যাত্রীদের বিমানবন্দরে পরীক্ষা করা হচ্ছে জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) ডাক্তার তানিয়া তহমিনা জানান, এছাড়া দেশের স্থলবন্দরগুলোকে সতর্ক রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত চীন থেকে আসা এক হাজার ৭৮৩ জনকে স্ক্রিনিং (রোগ শনাক্ত পরীক্ষা) করা হয়েছে। বর্তমানে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তিনটি থার্মাল স্ক্যানারের মধ্যে দুটি মেশিনে স্ক্রিনিং করা হচ্ছে।’

তানিয়া জানান, শাহজালালে একটি হাতমেশিনেও চীন থেকে ফেরা যাত্রীদের স্ক্রিনিং করা হচ্ছে। আরও দুটি হাতমেশিন যুক্ত করা হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত কোনো রোগীর সন্ধান মেলেনি।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে দেশটিতেই আক্রান্তের সংখ্যা লক্ষাধিক বলে গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে। তবে চীন সরকারের তথ্য মতে আক্রান্ত হয়েছে অন্তত দুই হাজার মানুষ। আর মারা গেছেন এখন পর্যন্ত ৫৬ জন।

চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিলেছে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ভারতসহ অন্তত ১২টি দেশে।

(ঢাকাটাইমস/২৬জানুয়ারি/ডিএম)