রাবিতে ‘দুর্নীতি’, বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশ | ২৬ জানুয়ারি ২০২০, ১৮:১১

রাবি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মিজানউদ্দিন প্রশাসনের আমলে হওয়া দুর্নীতির বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ। রবিবার বেলা ১১টায় সিনেট ভবনের সামনে প্রায় দুইশ’ শিক্ষক এ মানববন্ধনে অংশ নেন।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী শিক্ষক সমাজের আহ্বায়ক অধ্যাপক মজিবুর রহমান মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন।

এ সময় কম্পিউটার সাইন্স বিভাগের অধ্যাপক জাহিদুর রহমান বলেন, গত প্রশাসনের আমলে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলক নির্মাণ, কফিশপ নির্মাণ, ঢাকাস্থ অতিথি ভবন নির্মাণে ভয়াবহ দুর্নীতি করলেও যাদের বিচার হয়নি; তারাই আজকে সুশৃঙ্খল একাডেমিক পরিবেশ নষ্ট করার উদ্দেশে প্রশাসনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলছে। এই দুর্নীতিগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তিনি।

শাহ মখদুম হলের প্রাধ্যক্ষ আরিফুর রহমান বলেন, ‘বরাবরই দুর্নীতিপরায়ণ কিছু শিক্ষক নিজেদের দুর্নীতি ঢাকতে এই প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছে। এর আগে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনেও তারা বাধা দিয়েছে। এছাড়াও ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারাও করছে তারা।’

শিক্ষকরা বলেন, ‘গত প্রশাসনের আমলে স্মার্টকার্ড দেওয়ার নাম করে কোটি কোটি টাকা নাই হয়ে গেছে। আজ পর্যন্ত স্মার্টকার্ডের কোনোরকম ব্যবহার ও উপকারিতা পায়নি শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। আর আজ যিনি দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষকদের ব্যানারে প্রধান তার নামেও ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপে প্রায় পৌনে এক কোটি টাকা অনিয়মের অভিযোগ আছে যা তদন্তাধীন।’

ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক হাসিবুল আলম প্রধান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী খোঁজ-খবর নিয়েই বর্তমান উপাচার্যকে দ্বিতীয়বারের মতো উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবেই ষড়যন্ত্রে করছে মহল।’

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন- সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক রবিউল ইসলাম, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সুজিত সরকার ও সুমাইয়া খানম, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক চিত্তরঞ্জন মিশ্র, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক তারেক নূর, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর লুৎফর রহমান, জনসংযোগ প্রশাসক প্রভাষ কুমার কর্মকার, প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের সদস্য সচিব এমাজউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।

(ঢাকাটাইমস/২৬ জানুয়ারি/পিএল/এলএ)