‘অসুবিধা হলে পোস্টার খুলে ফেলব, তবু মাইরেন না’
নির্বাচনী পোস্টার ঝুলাতে গিয়ে হামলার শিকার হওয়ার অভিযোগ করেছেন দক্ষিণ সিটির ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডের স্বতন্ত্র প্রার্থী আওলাদ হোসেন। হামলার সময় হামলাকারীদের থামানোর চেষ্টা করেছেন তিনি। তিনি জানান, প্রয়োজনে ঝুলানো পোস্টার নিজেরা খুলে ফেলার কথাও বলেছেন তিনি। তবুও প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগের প্রার্থীর অনুসারীদের হামলা থেকে নিস্তার পাননি। তার অভিযোগ, শনিবার রাতে ঘুড়ি প্রতীকের প্রার্থীর অনুসারীরা তার ও তার নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫৬ নং ওয়ার্ডে স্বতন্ত্র প্রার্থী আওলাদ হোসেন লাটিম প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। আওলাদ জানান, শনিবার রাত সাড়ে দশটায় ওয়ার্ডের পশ্চিম রসূলপুর চাঁদ মসজিদের পাশে ট্যানারিপুকুর পাড়ে এ ঘটনা ঘটে।
আওলাদ হোসেনের ভাষ্যমতে, তিনি আর বেশ কয়েকজন কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে রাত দশটা নাগাদ ট্যানারিপুকুর এলাকায় পোস্টর লাগাতে যান। কাজ প্রায় প্রায় শেষ পর্যায়ে তখন শহিদুল, রাজ্জাক, আশরাফ মাদবর সহ ২০ থেকে ২৫ জন তাদের ওপর হামলা করে।
আওলাদ বলেন, ‘আমি তাদের বারবার বললাম, তোমাদের অসুবিধা হলে আমরা আমাদের পোস্টার খুলে ফেলব। লোকগুলোকে মেরো না। আমি তাদের অনেকবার বাধা দেয়ার চেষ্টা করেছি। কিন্তু তারা আমার কোনো কথা শোনেনি। ৭ জন লোক আহত হয়েছে। তারা সাধারণ মানুষ, খেটে খাওয়া মানুষ।’
হামলাকারীদের কয়েকজনকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে বলে তিনি জানান। বলেন, ‘শহিদুলের নেতৃত্বে রাজ্জাক, আশরাফ মাদবরসহ ২০ থেকে ২৫ জন আমাদের উপর হামলা করে। তারা সবাই আওয়ামী লীগের প্রার্থী হোসেনের লোক। আমাদের কাছে ভিডিও আছে।’ হামলার শিকার হওয়া রিকশা চালক হেলাল ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের পোলাপান মারছে ভাই। দৌড়াইয়া দৌড়াইয়া মারছে।’
এছাড়াও হামলায় হানিফ, শফিক, রিপন, সুমন, মুসলেম উদ্দিন সহ ৭ থেকে ৮ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন কাউন্সিলর প্রার্থী আওলাদ হোসেন।
এ বিষয়ে থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার ওপর হামলা এই প্রথম না। এর আগেও আমার ওপর, আমার লোকজনের ওপর হামলা হয়েছে। গণসংযোগ করতে গিয়েছি, করতে দেয়নি। নারী কর্মীরা বাড়ি বাড়ি ভোট চাইতে গিয়েছে, তাদেরও ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে। তাদের ভ্যানিটি ব্যাগ রেখে দিয়েছে। ভয়ে কেউ থানায় যেতে চায় না। তাই অভিযোগ করা হয়নি।’
আওলাদের ভাষ্যমতে হামলার পেছনে ঘুড়ি প্রতীকের কাউন্সিলর প্রার্থী মোহাম্মদ হোসেনের হাত থাকলেও হোসেন তা অস্বীকার করেছেন। ঢাকাটাইমসকে হোসেন বলেন, ‘রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। এখানে প্রত্যেক প্রার্থী স্বাধীনভাবে তাদের প্রচারণা করবে। আমিও করব। আওলাদ ভাইর ওপর হামলার বিষয়ে আমার কোনো নেতাকর্মী সেখানে যায়নি। আমার এমন কোনো নির্দেশনাও নেই।’
এ বিষয়ে কামরাঙ্গীর চর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মশিউর রহমান বলেন, 'এমন কোনো অভিযোগ আমাদের কাছে নাই। গতকাল থেকে কোনো হামলার ঘটনা নেই। নির্বাচন কমিশন থেকে অধিকাংশ কাউন্সিলরকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আমরাও সতর্ক আছি।'
ঢাকাটাইমস/২৬জানুয়ারি/কারই/ইএস