পাবনায় আ.লীগের সংঘর্ষ, আহত ১৫

প্রকাশ | ২৬ জানুয়ারি ২০২০, ২০:৩০

নিজস্ব প্রতিবেদক, পাবনা

পাবনার সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সমর্থিত দুই পক্ষের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উদযাপন কমিটি করা নিয়ে সংঘর্ষ ও বাড়ি-ঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। রবিবার দুপুরে জেলার সুজানগর উপজেলার আহমেদপুর ইউনিয়নে এই ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে ১৫ জন আহত ও ১০/১২টি বাড়ি ভাঙচুরের পর লুটপাট চালানো হয় বলে অভিযোগ ক্ষতিগ্রস্তদের। 

পাবনার আমিনপুর থানার উপ-পরিদর্শক মফিজুল ইসলাম জানান, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে গত শনিবার সন্ধ্যায় আহমেদপুর ইউনিয়নের বিরাহীমপুর মীর্জা আব্দুর রশিদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় আওয়ামী লীগ এক বর্ধিত সভার আয়োজন করে। সভায় বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন বাবু গ্রুপ এবং আব্দুর রশিদ গ্রুপের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব লাঞ্চিত হয়।

এরই জের ধরে দুপুর দেড়টার দিকে বাবু গ্রুপের লোকজন রশিদ গ্রপের ওপর হামলা চালিয়ে উপর্যুপরি মারপিট দেয়। এতে রশিদসহ তার পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়। এ সময় হামলাকারীরা রশিদ পক্ষের লোকজনের প্রায় ১০/১২টি বাড়ি-ঘর ভাঙচুর এবং লুটপাট চালায় বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্ত মজিদের স্ত্রী আফরোজা খাতুনের।

এ বিষয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার হোসেন বাবু বলেন, আমি বা আমার লোকজন হামলা করেনি। উল্টো রশিদ পক্ষের লোকজন হামলা চালিয়ে আমার চারজন লোককে মারপিট করেছে।

তবে এই ঘটনায় আব্দুর রশিদের বাড়ি গিয়ে ভাঙচুর দেখা যায় এবং উপস্থিত লোকজন বলেন, রশিদ চিকিৎসার জন্যে হাসপাতালে আছেন। তবে কোন হাসপাতালে আছেন কেউই বলতে পারেননি।

রশিদ গ্রুপের নেতৃত্ব দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সুজানগর পৌর মেয়র আব্দুল ওহাব এবং বাবু পক্ষের নেতৃত্ব দেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিনুজ্জামান শাহিন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীনুজ্জামান শাহিন বলেন, আমি ওই সভায় উপস্থিত ছিলাম না। তবে নেতাকর্মীদের কাছ থেকে যেটুকু শুনেছি, তাতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দায়িত্বশীল আচরণ করেননি। এই ঘটনার সাথে আমার লোকজনের সম্পৃক্ততা নেই।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব বলেন, শনিবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিনের লোকজন উত্তেজিত হয়ে মঞ্চে চেয়ার ছুড়ে মারেন। তারই জের ধরে রবিবার দলের ত্যাগী লোকজনের বাড়িঘর ভাঙচুর ও হামলা চালিয়েছেন। চেয়ারম্যান শাহিন এগুলো করাচ্ছেন। আমার লোকজনকে মারপিট করে পুলিশ দিয়েও হয়রানি করাচ্ছেন।

আমিনপুর থানার ওসি মোমিনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/২৬জানুয়ারি/এলএ)