সীমান্তে হত্যা বন্ধের দাবিতে অনশনে জাবি শিক্ষার্থী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৬ জানুয়ারি ২০২০, ২১:০৫

সীমান্তে হত্যার বন্ধ ও বিচার দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী। আরিফুল ইসলাম আদিব নামের ওই শিক্ষার্থী সীমান্ত হত্যা বন্ধে চার দফা দাবিও জানিয়েছেন। শনিবার থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তিনি অনশনে বসেছেন। রবিবারও তাকে একই স্থানে দেখা গেছে।

আদিবের চার দফা দাবিগুলো হলো- ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে সকল হত্যার আন্তর্জাতিক আইনে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। ভারতকে সীমান্ত হত্যার জন্য ক্ষমা চেয়ে আর হত্যা না করার প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। সীমান্তে হত্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সকল পরিবারকে তদন্ত সাপেক্ষে দুই দেশের যৌথভাবে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে ও বাংলাদেশের সংসদে সীমান্তে হত্যার প্রতিবাদ করে নিন্দা জানাতে হবে।

আদিব বলেন, ‘সীমান্তে নির্বিচারে মানুষ হত্যা করছে বন্ধু রাষ্ট্র ভারত। আমি মানুষ শব্দটি উল্লেখ করলাম এই জন্য যে মানুষ হত্যা করেছে এই অনুভূতিটা এখন আর আমাদের মাঝে নেই। প্রতিদিন ধর্ষণ করে হত্যা, নির্যাতনে হত্যা, ক্রসফায়ারে হত্যা, বোমা মেরে হত্যা শুনতে শুনতে একেবারে অনুভূতিহীন হয়ে গেছি। এই অনুভূতিটা আবার জেগে ওঠে যখন নিজের, বাবা, ভাই কিংবা বোন হয়।’

বিগত বছরগুলো সীমান্ত হত্যার পরিসংখ্যান তুলে ধরেন তিনি। বলেন, ‘গত দশ বছরে ২০১০ সাল থেকে ২০১৯ সালে সীমান্তে ভারত ৩০০ মানুষ হত্যা করেছে। ২০১৯ সালে এই সংখ্যাটা ছিল ৪৬। আর ২০২০ সালে মাত্র ২৩ দিনেই হত্যা করেছে ১৫ জন। ২০১৮ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে সীমান্তে হত্যা তিনগুণ। আর এভাবে চলতে থাকলে ২০২০ সালে সংখ্যাটা ৪০০ ও ছাড়াতে পারে। কিছুদিন আগে নিউজে দেখলাম ১১ বছর আগে বাবাকে মেরেছে বিএসএফ এবার মারলো ছেলেকে। ’

তিনি আরও বলেন, ‘একবার চিন্তা করেছেন এই আমরাই ভাষার জন্য ১৯৫২ সালে সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, ৪ জনের হত্যার প্রতিবাদে পুরো দেশ বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে লড়াই করেছি। সেই আমরাই ২০২০ সালে স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে এসেও কি রকম চেতনাহীন হয়ে গেছি। বলি কি ভাই, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা শুধু ১৬ই ডিসেম্বর আর ২৬ এর জন্য শুধু রেখে না দিয়ে হৃদয়ে অনুভব করি। এভাবে চলতে দেয়া যায় না। এভাবে চলতে পারে না।’

ঢাকাটাইমস/২৬জানুয়ারি/কারই/ইএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :