উৎসবমুখর আয়োজনে ‘হ্যাপি অস্ট্রেলিয়া ডে’ উদযাপন

প্রকাশ | ২৬ জানুয়ারি ২০২০, ২২:০৫

শাহাব উদ্দিন শিহাব, অস্ট্রেলিয়া

২৬ জানুয়ারি ছিল অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় দিবস ‘হ্যাপি অস্ট্রেলিয়া ডে’। এ উপলক্ষে অস্ট্রেলিয়াজুড়ে নানা আয়োজনের পাশাপাশি ছিল উৎসবের আমেজ।

হ্যাপি অস্ট্রেলিয়া ডে’র প্রথম প্রহরে অস্ট্রেলিয়ার সর্বত্র জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বর্ণাঢ্য র‌্যালিসহ নানা আয়োজনের মাধ্যমে দেশটিতে জাতীয় দিবস উদযাপিত হয়।

রাষ্ট্রীয়ভাবে যথাযোগ্য মর্যাদায় কুচকাওয়াজ, সরকারি পুরস্কার, নাগরিকত্ব অনুষ্ঠান, বনভোজন, আতশবাজি এবং নাগরিকত্ব প্রদানের মধ্যদিয়ে  নতুন সদস্যদের স্বাগত জানানোসহ বর্ণাঢ্য নানা আয়োজন ছিল দেখার মতো। অস্ট্রেলিয়ার ক্যাপিটাল টেরিটরির ক্যানবেরা থেকে শুরু করে অপেরা হাউজ, হার্ভার্ড ব্রিজসহ সবখানে ছিল ‘হ্যাপি অস্ট্রেলিয়া ডে’র নানা আয়োজন।

এছাড়া বিভিন্নস্থানে লাইভ কনসার্ট, কর্মশালা, প্রবীণদের প্রোগ্রাম, রকমারি খাবারসহ ছিল রকমারি আয়োজন। দিনটিতে ছিল সরকারি ছুটি। তবে এ দিন সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় ২৭ জানুয়ারি সরকারি ছুটি ভোগ করবেন অস্ট্রেলিয়ানরা।

এদিকে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীরা ‘নিউ সাউথ ওয়েলস’ এলাকায় সরকারের পাশাপাশি আয়োজন করে নানা অনুষ্ঠানের।  দেশের কমিউনিটি সংগঠনগুলো দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় করেছেন জানিয়ে ওয়ালী পার্ক এলাকার প্রবাসী বাংলাদেশি নানু মিয়া ও পাঞ্চভোল এলাকার প্রবাসী শাহ আলম জানান, প্রতি বছরের ন্যায় তারা এবছরও আনন্দ উল্লাসে অস্ট্রেলিয়া ডে পালন করেছেন।

তারা জানান, ২৬ জানুয়ারি সরকারি ছুটি হলেও এবছর সাপ্তাহী হওয়ায় অস্ট্রেলিয়া সরকার পর দিন অর্থাৎ ২৭ জানুয়ারি সরকারি ছুটি ভোগ করবেন তারা।

প্রসঙ্গত, ১৭৭০ খ্রিস্টাব্দে অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের নিউ সাউথ ওয়েলসের সমুদ্র উপকূলের সিডনির বোটানি বে’র কার্নেলের সন্নিকটে বৃটিশ নাগরিক লেফটেন্যান্ট জেমস কুক এই মহাদেশ অনুসন্ধানের প্রথম দাবি করেন। ১৭৮৮ সনের ২৬ জানুয়ারি ক্যাপ্টেন আর্থার ফিলিপের নেতৃত্বে প্রথম ব্রিটিশ নৌবহর সিডনির পূর্ব সমুদ্র সৈকত কোভের পোর্ট জ্যাকসনে নোঙ্গর করে ব্রিটিশ পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে উপনিবেশিক স্থাপনা শুরু করেন।

১৮১৮ সনের ২৬ জানুয়ারি গভর্নর লেকলান মেকুয়ারি প্রথমে ‘অস্ট্রেলিয়া ডে’  আনুষ্ঠানিকভাবে উদযাপনের ঘোষণা দেন। ১৮৮৮ সনে অ্যাডিলেড ছাড়া বাকি অঙ্গরাজ্যগুলি অস্ট্রেলিয়া বার্ষিকী দিবস হিসাবে পালন করা শুরু করে। পরে ১৯৩৫ সনে প্রতিটি রাজ্যে সম্মলিতভাবে 'অস্ট্রেলিয়া ডে' হিসাবে পালন করা শুরু হয়। অবশ্য অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসীরা 'অস্ট্রেলিয়া ডে' কে একটি কালো অধ্যায় বা শোকের দিন হিসাবে মনে করে।

(ঢাকাটাইমস/২৬জানুয়ারি/এলএ)