গোপীবাগে সংঘর্ষ: আ.লীগের মামলা, বিএনপির ‘মামলা নেয়নি’ পুলিশ
রাজধানীর ওয়ারীর গোপীবাগে নির্বাচনী প্রচারণার সময় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় আওয়ামী লীগের এক নেতা একটি মামলা করেছেন। ওই ঘটনায় বিএনপির পক্ষ থেকে মামলা করতে গেলেও পুলিশ মামলা নেয়নি বলে অভিযোগ করেছে দলটি। তবে পুলিশের দাবি, মামলা করতে বিএনপির কেউ থানায় আসেনি। অভিযোগ পেলে তারা অবশ্যই মামলা নিতো।
সংঘর্ষের ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতার করা মামলায় পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ।
গতকাল বেলা একটার দিকে গোপীবাগে ঢাকা দক্ষিণে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাকের কর্মীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। আধা ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা সংঘর্ষে উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক অভিযোগ করছেন, তাদের পক্ষে মামলা করতে গেলে থানা থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা দক্ষিণে বিএনপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব আব্দুস সালাম বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে ছাত্রদলের কর্মী আবদুর রহিম থানায় মামলা করতে গেলে তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সংঘর্ষের ঘটনায় গতকাল রাতে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা মাকসুদ আহমেদ বাদী হয়ে ওয়ারী থানায় মামলা করেন।
ওয়ারী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মোহাম্মদ হান্নানুর ইসলাম ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘বিএনপির মেয়র প্রার্থী যে অভিযোগ করেছে তা মিথ্যা। তাদের কেউ থানায় মামলা করতে আসেনি। আমি গতকাল সারাদিন থানায় ছিলাম। কেউ থানায় ডিউটি অফিসারের রুম পর্যন্তও মামলা করতে আসেনি। মামলা নেওয়া হচ্ছে না এসব গুজব। তারা ধরেই নিয়েছে থানায় গেলে মামলা হবে না; তাই থানায় না এসে এসব কথা বলছে।’
তিনি জানান, ‘গোপীবাগের সংঘর্ষের ঘটনায় গতকাল একটি মামলা হয়েছে। সেই মামলায় পাঁচজনকে আটক করা হয়। তাদের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
এদিকে গোপীবাগের সংঘর্ষের ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে পুলিশকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থল ওয়ারি থানার ওসিকে প্রকৃত ঘটনা কী এবং দায়ী কারা-এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
ঢাকাটাইমস/২৭ জানুয়ারি/এসএস/এমআর