আরও ১১ শব্দসৈনিককে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি

প্রকাশ | ২৭ জানুয়ারি ২০২০, ১৫:০০

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় গড়ে ওঠা স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের আরও ১১জন শব্দসৈনিককে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়েছে সরকার। তাদের নিয়ে তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা শব্দসৈনিকের সংখ্যা দাঁড়াল ২৮৬জনে।

জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) ৬৫তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১১ জনকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়ে সম্প্রতি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ১১ শব্দসৈনিক হলেন- মোশাদ আলী, মো. জামিরুল মূলক, লায়লা আনজুমান্দ বানু, মৃত আব্দুল ওহাব পাইক, কাঞ্চন বিকাশ তালুকদার, সুরেশ চন্দ্র দাস, তাহের সুলতান, রজ্জব আলী দেওয়ান, মো. সিরাজুল ইসলাম, মো. আশরাফ হোসেন ও কৃষ্ণ সাহা।

২০১৭ সালে ১০ জুলাই ৫৮ শব্দসৈনিককে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেয়া হয়। এর আগে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের প্রচারণায় অংশগ্রহণকারী এবং মুক্তিযুদ্ধকালে গঠিত সাংস্কৃতিক সংগঠনের ১০৮ ও ৮৭ জন শব্দসৈনিককে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়ে গেজেট জারি করা হয়।

একাত্তরে বাঙালির স্বাধীনতাযুদ্ধের সূচনায় এই শব্দসৈনিকদের গড়ে তোলা স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র এ দেশের মুক্তিকামী মানুষকে নয়টি মাস প্রেরণা যুগিয়েছে।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে দশজন সাহসী সৈনিকের উদ্যোগে চট্টগ্রামের কালুরঘাটে স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্রের কাজ শুরু হয়। ৩০ মার্চ সেখান থেকেই প্রথমবারের মতো শোনা যায় ‘জয় বাংলা, বাংলার জয়।’ ওইদিন দুপুরে পাকিস্তানি বাহিনীর হামলায় এ বেতার কেন্দ্রের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।

কালুরঘাটের পতনের পর শব্দযোদ্ধাদের দুটি দলের চেষ্টায় আগরতলা ও ত্রিপুরার বিভিন্ন জায়গা থেকে বেতার কেন্দ্রের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া হয়। ১০ এপ্রিল মুজিবনগরে বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার গঠিত হওয়ার পর ভারত সরকারের সহায়তায় কলকাতার বালিগঞ্জ সার্কুলার রোড থেকে সম্প্রচার শুরু করে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র।

অস্ত্র হাতে মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি স্বাধীন বাংলা বেতারের শব্দসৈনিকদের কণ্ঠ যুদ্ধ চলে স্বাধীনতার আগ পর্যন্ত।

(ঢাকাটাইমস/২৭জানুয়ারি/এনআই/)