‘ভোটের পরও তাবিথের প্রার্থিতায় প্রশ্ন তোলার সুযোগ আছে’

প্রকাশ | ২৭ জানুয়ারি ২০২০, ১৮:১৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের প্রার্থিতা বাতিলের বিষয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ রয়েছে বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছে হাইকোর্ট। সোমবার রিটের ওপর আদেশ দেওয়ার সময় এমন মন্তব্য করে আদালত।

এর আগে তাবিথ আউয়ালের প্রার্থিতা বাতিলের রিট সরাসরি খারিজ করে দেন বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।

আদালত তার পর্যবেক্ষণে বলেন, ‘নির্বাচনের সময় আছে আর মাত্র চার দিন। এ সময়ের হলফনামার তথ্যসংক্রান্ত বিষয়ের সুরাহা করা, সত্যতা যাচাই করা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। নির্বাচনের পরে যেহেতু বিষয়টি আদালতে উত্থাপন করার সুযোগ রয়েছে, তাই ফলাফলের ভিত্তিতে পক্ষসমূহের মধ্য থেকে যে কেউ নির্বাচনের পরে প্রশ্ন (প্রার্থিতা বৈধতা চ্যালেঞ্জ) তুলতে পারবে। বিষয়টি নির্বাচনের পরে হলে উভয়পক্ষের জন্য মঙ্গলজনক হবে।’

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট কামরুল হক সিদ্দিকী। তাকে সহযোগিতা করেন ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ মইনুল ইসলাম। অন্যদিকে তাবিথের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন আহমেদ ও অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। তাদের সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন, একেএম এহসানুর রহমান, জামিউল হক ফয়সাল প্রমুখ।

এর আগে গত ২৬ জানুয়ারি তাবিথের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দীন চৌধুরী মানিক বাদী হয়ে রিটটি দায়ের করেন। রিটে নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।

গত ২৩ জানুয়ারি বিকেলে নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাবিথের প্রার্থিতা বাতিলের দাবি জানান শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। এ সময় তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বরাবর এ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ জমা দেন।

পরে বিচারপতি মানিক জানান, সিঙ্গাপুরে এনএফএম এনার্জি (সিঙ্গাপুর) প্রাইভেট কোম্পানি লিমিটেড নামে একটি কোম্পানিতে তাবিথ আউয়ালসহ তিনজনের শেয়ার রয়েছে। এই তিনজন শেয়ারহোল্ডারের একজন তাবিথ আউয়াল। অন্য দুজন তার সহযোগী।

বিচারপতি মানিক আরও বলেন, তাবিথসহ তিনজন মিলে এ কোম্পানির সব শেয়ারের মালিক হয়েছেন। এ কোম্পানির মূল্য দেখানো হয়েছে দুই মিলিয়ন মার্কিন ডলারের উপর। এনএফএম এনার্জি (সিঙ্গাপুর) প্রাইভেট কোম্পানির কথা তাবিথ আউয়াল তার হলফনামায় উল্লেখ করেননি। আইন হচ্ছে তার ও তার পরিবারের সব সদস্যের সব সম্পদ হলফনামায় দেখাতে হবে। কিন্তু তাবিথ আউয়াল তা দেখাননি।

তবে নির্বাচন কমিশনের ওই আবেদনের বিষয়ে কোনো সাড়া না পেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন আলোচিত অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দীন চৌধুরী মানিক।

(ঢাকাটাইমস/২৭জানুয়ারি/এআইএম/জেবি)