গোপীবাগে সংঘর্ষের মামলায় বিএনপির পাঁচ কর্মী রিমান্ডে

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৭ জানুয়ারি ২০২০, ২০:৪০
ফাইল ছবি

রাজধানীর গোপীবাগে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা একটি মামলায় বিএনপির পাঁচ কর্মীর একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

সাত দিন করে রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে সোমবার ঢাকা মহানগর আবু সুফিয়ান মো. নোমান এ রিমান্ডের আদেশ দেন।

রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন- জামিল আহম্মেদ তুহিন, বিল্লাল হোসেন, সোহেল, ফারুক ও আকরাম হোসেন মুন্না।

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওয়ারী থানার সাব-ইন্সপেক্টর জুলফিকার আলী আসামিদের আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।

আসামিদের পক্ষে খোরশেদ মিঞা আলম, মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, সাইফুল ইসলাম মিয়াজী প্রমুখ আইনজীবী রিমান্ড বাতিল করে জামিনের আবেদন করেন।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে প্রত্যেকের একদিন করে রিমান্ডের আদেশ দেন।

এদিকে এদিন মামলার এজাহার গ্রহণ করে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ধার্য করে দিয়েছে একই আদালত।

এর আগে গত রবিবার রাতে রাজধানীর ওয়ারী থানায় বিএনপির ৫০ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে ১০০/১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেন ৩৯নং ওয়ার্ড নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব মাকসুদ আহমেদ।

মামলায় বলা হয়, গত ২৬ জানুয়ারি সকাল ১১টার দিকে ৩৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থী রোকন উদ্দিন আহমেদ ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর লাভলী চৌধুরী ৭০/৮০ জন নেতাকর্মী ও সমর্থকসহ নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগ করেন। গণসংযোগ শেষ করে ওয়ারী থানাধীন ৪৮/৩/এ আর কে মিশন রোডস্থ রোকন উদ্দিন আহমেদ এর অস্থায়ী নির্বাচন ক্যাম্পে আসেন। জোহরের নামাজের বিরতিতে নামাজের প্রস্তুতি নেন। বেলা ১২টা ৫০ মিনিটে আসামি শাহ আলমের নেতৃত্বে অপর আসামিরা অজ্ঞাতনামা দুই জন মহিলাসহ ১০০/১২৫ জন অভয় দাস লেন এর পশ্চিম দিক থেকে মিছিল বের করে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের দিকে আসতে থাকে। সেখানে এসে তাদের কটাক্ষ করে ‘নৌকা ডোবা ধান লাগা’সহ বিভিন্ন ধরনের উস্কানিমূলক শ্লোগান দিতে থাকে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তাদের এ ধরনের শ্লোগান না দিতে অনুরোধ করা হয়।

কিন্তু আসামিরা শ্লোগান দেয়া থেকে বিরত না হয়ে উত্তেজিত হয়ে লাঠিসোঠা নিয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থকদের ওপর আক্রমণ করে। আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে থাকা অন্যান্য নেতাকর্মীরা এগিয়ে আসলে শাহ আলম ওরফে পারভেজ শিকদার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হত্যার উদ্দেশ্যে তাদের সাথে থাকা পিস্তল দিয়ে নেতাকর্মীদের ওপর গুলি বর্ষণ করতে থাকে। অন্যান্য আসামিরা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। তারা আওয়ামী লীগ নির্বাচনী কার্যালয়ে প্রবেশ করে নেতাকর্মীদের মারধর করে এবং কার্যালয়ে ভাঙচুর করে। এতে আওয়ামী লীগ কর্মী ইয়াসির আরাফাত রকি মাথায় গুলিবিদ্ধ এবং মোবারক হোসেন সেলিমের ডান হাত গুলিবিদ্ধ হয়। হামলায় কার্যালয়ের কেয়ার টেকার বাবুল মিয়া, মনির হোসেন, সোহবার, আমীর হোসেন কুট্টুর আহত হয়। এছাড়া আরো কয়েকজন আহত হয়।

(ঢাকাটাইমস/২৭জানুয়ারি/আরজেড/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আদালত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আদালত এর সর্বশেষ

সাবেক সচিব প্রশান্ত কুমারকে কারাগারে পাঠালেন আদালত

৩১ মার্চ পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম

বিচারপতির আসনে ছাদ বেয়ে পানি, বিচারকাজ বন্ধ ১৮ মিনিট

আগাম জামিন পেলেন অ্যাডভোকেট যুথিসহ চার আইনজীবী

জামিন নিতে এসে রায় শুনে পালিয়ে গেলেন হলমার্ক কেলেঙ্কারির আসামি

তিন মাসের মধ্যে সালাম মুর্শেদীকে গুলশানের বাড়ি ছাড়ার নির্দেশ

হলমার্ক কেলেঙ্কারি: তানভীর ও তার স্ত্রীসহ নয়জনের যাবজ্জীবন

সুপ্রিম কোর্ট বারে মারামারি: নাহিদ সুলতানা যুথীর জামিন শুনতে নতুন বেঞ্চ নির্ধারণ

পি কে হালদারের ১৩ সহযোগীর সাজা বাড়ানোর আবেদন দুদকের

ড. ইউনূসের সাজা ও দণ্ড স্থগিতের আদেশ হাইকোর্টে বাতিল

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :