করোনা ভাইরাস: হিলি ইমিগ্রেশনে যন্ত্রপাতি ছাড়াই কাজ চলছে

প্রকাশ | ২৮ জানুয়ারি ২০২০, ২০:২২

হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে দিনাজপুরের হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে নেই কোনো পরীক্ষার ব্যবস্থা। তবে ভাইরাসে আক্রান্তের প্রাথমিক লক্ষণ চিহ্নিত করার জন্য স্বাস্থ্য বিভাগ ও ইমিগ্রেশনের পক্ষ থেকে প্রচারপত্র বিতরণ করে সচেতন করা হচ্ছে মানুষকে। 

ভারত থেকে কোনো যাত্রী বাংলাদেশে প্রবেশ করলে তাদের তাদের জ্বর বা সর্দি কাশি আছে কিনা জানা হচ্ছে। এই পদ্ধতিতে মৌখিকভাবে করোনা ভাইরাস চিহ্নিত করার কাজ করা হচ্ছে। ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে থার্মাল স্কেনার মেশিন কিংবা হ্যান্ড থার্মাল মেশিন কিছুই নেই। কোনো যাত্রী তাদের রোগের বিষয়টি লুকিয়ে দেশে প্রবেশ করলে করার কিছু থাকবে না কর্তৃপক্ষের। 

মূলত স্কেনার মেশিন না থাকায় হিলি ইমিগ্রেশন চেক পোস্টে করোনা নামক প্রাণঘাতি ভাইরাসটি পরীক্ষা করা যাচ্ছে না।  

করোনা ভাইরাস মূলত চীনে উৎপত্তি। তাই হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে যে কেউ অনায়সে দেশে ঢুকে যেতে পারে। কারণ হলো- দেশের উত্তরে ভারত অভ্যন্তরে রয়েছে দার্জিলিং ও গ্যাংটকের মতো শহর, যেখানে প্রতিদিন শত শত বিভিন্ন দেশের পর্যটকরা যাওয়া আসা করে। সেখানে ভারত ও বাংলাদেশের পর্যটকরাও যাওয়া আসা করেন। এ কারনে কিছুটা হলেও হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ঝুঁকিতে রয়েছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। 

ভারত থেকে আগত সোমলতা ও দীপঙ্কর সাহা জানান, করোনা ভাইরাস সম্পর্কে তাদের কোনো ধারনা নেই। বাংলাদেশে প্রবেশের পর চিকিৎকরা তাদের কাছে সর্দি, জর, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি আছে কি না জানতে চেয়েছেন। তারাও বলেছেন, তাদের এ ধরনের কোনো সমস্যা নেই। সব মিলিয়ে তারা একটি ভাইরাস সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন। পাশাপাশি তারাও নিশ্চিত হয়েছেন তারা সুস্থ্য আছেন। মেডিকেল টিম ভারত ও বাংলাদেশে দুপাশে কাজ করলে সবাই এর সুবিধা পাবেন। 

হিলি ইমিগ্রেশন ওসি রফিকুজ্জামান জানান, হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোষ্টে মেডিকেল টিম কাজ করছে। ভারত থেকে আগত পাসপোর্টধারী যাত্রীদের কাছে মেডিকেল টিম শুনছেন সর্দি, জর, শ্বাস কষ্ট আছে কিনা। তারা সম্প্রতি চিনে বেড়াতে গেছেন কিনা। সব মিলিয়ে তারাও নজরদারি করছেন। পাশাপাশি তারা মেডিকেল টিমকে সহযোগিতা করছেন। যাতে কোনোভাবে করোনা ভাইরাস সংক্রামক ব্যক্তি দেশে প্রবেশ করতে না পারেন। 

হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নাজমুস সাইদ জানান, সোমবার দুপুড়ের পর থেকে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোষ্টে মেডিক্যাল টিমের চার সদস্য কাজ করছে। তারা মূলত ভারত থেকে আসা যাত্রীদের মৈাখিকভাবে ভাইরাসজনিত রোগের লক্ষণ জানার চেষ্টা করছেন। কারও মধ্যে রোগের লক্ষণ দেখা গেলে তাকে মেডিকেলে ভর্তি করানো হবে বলে তারা জানান। 

(ঢাকাটাইমস/২৮জানুয়ারি/কেএম)