ঢাকা দক্ষিণের ২৬ নং ওয়ার্ড

১০০ দিনের ক্রাশ প্রোগ্রাম নিয়ে নামবেন সুইট

প্রকাশ | ২৮ জানুয়ারি ২০২০, ২০:৩১ | আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০২০, ২০:৪৮

বোরহান উদ্দিন

তিন যুগের বেশি সময় বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত বদিউল আলম সুইট। ঢাকা সিটি নিবাচনে দক্ষিণের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে ঝুড়ি প্রতীক নিয়ে তিনি লড়ছেন কাউন্সিলর পদে। ২০১৫ সালের সিটি নির্বাচনে অংশ নিয়ে ভালোই সাড়া পেয়েছিলেন তিনি। এবার দলের সমর্থন না পেয়ে হয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থী। ভোটের মাঠে প্রচারের সময় জুড়ে ছাত্রদলের সাবেক এই নেতা চষে বেড়াচ্ছেন ওয়ার্ডজুড়ে। এই ওয়ার্ডে রয়েছে আজিমপুর, নীলক্ষেত ও লালবাগের (একাংশ) মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকা।

বিভিন্ন বাধা বিপত্তির মুখোমুখি হওয়ার অভিযোগ করলেও শেষ পর্যন্ত মাঠে থেকে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন সুইট। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন ঢাকা টাইমসের সঙ্গে।
বিএনপির সঙ্গে ৩২ বছরের সম্পর্ক এমনটা জানিয়ে তিনি বলেন, ছাত্রদলের হাত ধরে রাজনীতিতে আসা। ১৯৯১ সালে নিউ মডেল কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে সহ-মিলনায়তন সম্পাদক হই। এরপর লালবাগ থাকা ছাত্রদলের সহ-প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করি। ১৯৯৪ সালে ছাত্রদলের রাজনীতি ছেড়ে বিএনপিতে আসি।  নাসির উদ্দিন পিন্টু ভাইয়ের সঙ্গে রাজনীতি করি। এখনো বিএনপির সঙ্গে আছি। 

দল থেকে মনোনয়ন কেন পাননি- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, দলের সঙ্গে আছি। রাজপথে থেকেছি। এলাকায় খোঁজ নিলে সেটা জানতে পারবেন। তবে গত নির্বাচনের মতো এবারও দল কেন মনোনয়ন দেয়নি সেটা হাইকমান্ড বলতে পারবেন। কিন্তু এলাকার নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ চায় আমি জনপ্রতিনিধি হয়ে তাদের পাশে থাকি। আশা করি সুষ্ঠু ভোট হলে এবার সফল হবো।

দল থেকে যাকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে তার থেকে নিজেকে কেন যোগ্য মনে করছেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, যাকে দল থেকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে তিনি আন্দোলন কর্মসূচিতে নেই। হয়তো তার টাকা থাকতে পারে। আমার টাকা নেই কিন্তু ভোটারদের সঙ্গে সম্পর্ক আছে। আমি মাঠে ছিলাম, আছি। সামনেও থাকবো।

ভোটারদের কাছে কি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি নির্বাচিত হলে প্রথমে একশো দিনের একটি কর্মসূচি হাতে নেয়ার পরিকল্পনা করেছি। এটাকে ক্রাশ প্রোগ্রামও বলতে পারেন। এরমধ্যে সবার আগে থাকবে মশা নিধনে নানা কর্মসূচি। যানজট নিরসনে বাস্তবভিত্তিক কর্মসূচি। সবুজায়নের অংশ হিসেবে গোটা এলাকায় লাগানো হবে নিমগাছ।

মাদক ও চাঁদাবাজিমুক্ত এলাকা হিসেবে ২৬ নম্বর ওয়ার্ডকে  গড়ে তোলার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, এলাকায় যেসব সমস্যার সমাধান করতে হবে তা স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিদের পরামর্শ মতো করবো।

নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে শঙ্কার কথা জানিয়ে সুইট বলেন, পরিবেশ নিয়ে শঙ্কার মধ্যে আছি। কারণ প্রতিদিন কিছু না কিছু ঘটনা ঘটছে। পোস্টার ছিড়ে ফেলা হচ্ছে। প্রচারণায় বাধা দেয়া হচ্ছে। কিন্তু এতে কাজ হবে না। কারণ ভোটাররা পরিবর্তন চায়।

জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে বিএনপির এই বিদ্রোহী প্রার্থী বলেন, ‘ভোটের দিনের পরিবেশ কেমন  হবে জানি না। তবে কেউ বাধা দিলে প্রতিরোধের চেষ্টা করবো শেষ পর্যন্ত।’

(ঢাকাটাইমস/২৮জানুয়ারি/বিইউ/ডিএম