স্থায়ী নিয়োগের আশায় দুই দশক পার
দুই দশক পার হলেও রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের (রাবি) মাস্টাররোলে নিয়োগ পাওয়া প্রায় ২৮০ জন কর্মচারীর চাকরি স্থায়ী হয়নি। বারবার চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানালেও কাজ হচ্ছে না।
সর্বশেষ গত রবিবার চাকরি স্থায়ী করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী কর্মচারীকে একজন সিন্ডিকেট সদস্যের পা ধরতে দেখা যায়।
পরিষদের মুখপাত্র মাসুদুর রহমান বলেন, ১৯৯৬ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ প্রাপ্তরা দক্ষতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। তাদের প্রায় সবার এখন অন্য সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সও নেই। ঋণের ভারে অনেকেই দুঃসহ জীবন যাপন করছেন।
জানা গেছে, সর্বশেষ ৪৯৭ তম সিন্ডিকেটে উত্থাপন হলেও নিয়োগের বিষয়টি অমিমাংসিত রয়ে গেছে।
এ বিষয়ে সিন্ডিকেট সদস্য হুমায়ুন কবীর বলেন, ৪৯৭ তম সিন্ডিকেট সভায় দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কাজ করা কর্মচারীদের নিয়োগ স্থায়ীর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে এত কর্মচারীকে এক সঙ্গে নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। কারণ এর জন্য প্রয়োজন বড় অঙ্কের বাজেটের। তবুও চেষ্টা করা হবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দ্রুত তাদের নিয়োগ দেয়ার।
কর্মচারীদের অভিযোগ, ১০ বছর আগে অস্থায়ীদের স্থায়ী করার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে একটি নির্দেশনা দেওয়া হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয় নি প্রশাসন। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তরে কম্পিউটার অপারেটর, শাহ মখদুম হলে পিওন, মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসকসহ বিভিন্ন বিভাগে অ্যাড হক নিয়োগ চলছেই। প্রায় ১৫ জনকে নিয়োগ দেয়াসহ আরও ১৬ জনকে স্থায়ী করার তথ্য আছে।
তবে ২০০৮ সালের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন উপসচিব রইছ উদ্দিন স্বাক্ষরিত একটি নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, ভবিষ্যতে নিয়োগের ক্ষেত্রে বর্তমানদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। এছাড়া স্থায়ীকরণে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নিকট বাজেটের জন্য একটি পত্র লিখতে হবে বলে জানানো হয়েছিল ওই নির্দেশনার মাধ্যমে।
এ বিষয়ে গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা বলেন, পত্র লেখা হয়েছে কিনা সে বিষয়ে এখনও কিছু বলতে পারছি না। তিনি আরো বলেন, এক সঙ্গে এত কর্মচারীর চাকরি স্থায়ী করা যাচ্ছে না। তবে পর্যায়ক্রমে ১০/২০ জন করে নিয়োগ দেওয়া গেলে সংখ্যাটা কমানো যাবে। সিন্ডিকেটে এমন সিদ্ধান্তই নেয়া হয়েছে।
ঢাকাটাইমস/২৮জানুয়ারি/পিএল/ইএস