ঢাকা উত্তর ৩৬ নম্বর ওয়ার্ড

স্থানীয়দের পাশে থাকতে চান আজাদ

প্রকাশ | ২৮ জানুয়ারি ২০২০, ২৩:৫২

কাজী রফিক

ঢাকা উত্তর সিটি নির্বাচনে ৩৬ নম্বর কাউন্সিলর পদে লড়ছেন ইসলাম চৌধুরী আজাদ। ভোটে জয় পরাজয় যাই হোক ওয়ার্ডবাসীর পাশে থাকতে চান ঠেলাগাড়ি প্রতীকের এই প্রার্থী। প্রচারে তিনি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন স্থানীয় জনগনের পাশে থাকার। একই সঙ্গে নাগরিক চাহিদা নিশ্চিত করার প্রত্যয় জানিয়েছেন তিনি।

উত্তর সিটির আয়তনে ছোট ওয়ার্ডগুলোর একটি ৩৬ নম্বর ওয়ার্ড। ওয়ার্ডটির মোট আয়তন ০ দশমিক ৭৬৯ বর্গ কিলোমিটার। মিরেরটেক, মিরবাগ, মধুবাগ, উত্তর নয়াটোলা দ্বিতীয় ভাগ, পূর্ব নয়াটোলা, দিক্ষণ নয়াটোলা, মগবাজার ওয়ারলেস কলোনী নিয়ে গঠিত ওয়ার্ডটিতে হোল্ডিং সংখ্যা ২ হাজার ২২৫টি।

ওয়ার্ডের উন্নয়ন কাজ পরিকল্পিতভাবে করা হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন কাউন্সিলর প্রার্থী ইসলাম চৌধুরী আজাদ। তিনি বলেন, ‘রাস্তাঘাট ভাঙা, এগুলোর উন্নয়ন করতে হবে। নতুন করে ড্রেন লাইন তৈরি করতে হবে। তাদের উন্নয়ন কাজে অনেক কারিগরি ভুল রয়েছে। যার ফলে নাগরিকরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। তারা কাজ করেছে। ড্রেন আছে, কিন্তু তা ময়লায় ভরে আছে, বালু দিয়ে ভরে আছে। পানি যাওয়ার জায়গা নাই। ড্রেনিজের পানি রাস্তায় চলে আসে, রাস্তা নষ্ট হয়ে যায়। আর রাস্তাও অনেক নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। সড়ক নির্মাণ, সুয়ারেজ লাইন নির্মানের সময় আমি নিজে সময় দিব। ইঞ্জিনিয়ার, ঠিকাদার, শ্রমিকদের সময় দিব। তারা আমার সামনে চুরি করতে পারবে না। আমার এই ধরণের চিন্তাভাবনা আছে।’

ওয়ার্ডটিতে নয়াটোলা শিশু পার্ক নামে একটি পার্ক রয়েছে। জায়গাটি সবুজায়ন ও শিশু উপযোগী করে গড়ে তোলা হলেও রয়েছে অসংগতি। পার্কের সামনেই গড়ে তোলা হয়েছে ময়লা ফেলার সেকেন্ডারি ডাম্বিং স্টেশন। ফলে ময়লার গন্ধে সহ্য করেই পার্কে বেড়াতে হয় এখানকার শিশুদের। কাউন্সিলর নির্বাচিত হতে পারলে ময়লা জায়গাগুলো অত্যত্র সরিয়ে নেয়ার কথা জানালেন আজাদ। বলেন, ‘পার্কের জায়গা ময়লার সেকেন্ডারি স্টেশন দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। অথচ এখানে (ওয়ার্ডে) প্রচুর পরিমাণ খাস জায়গা আছে। ময়লা ফেলার জায়গাগুলো অন্যত্র সরি নেয়ার চিন্তা আছে। এছাড়া ওয়ার্ডে আরও পার্ক, খেলার মাঠ করব। এতে শিশুরা খেলতে পারবে। কিশোর ও যুব সমাজকে মাদক থেকে দূরে থাকবে।’

নির্বাচনে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করতে ঢাকার বাইরে থেকে লোক নিয়ে আসছে প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী। এমন অভিযোগ করেছেন আজাদ। তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার ও বুধরার রাতে ভোলার চরফ্যাশন থেকে পাঁচ হাজার লোক ঢাকায় নিয়ে আসা হচ্ছে। তাদের জন্য বাসা নেয়া হয়েছে। পূর্বের ন্যায় কেন্দ্র দখল করার জন্য তারা এই লোকজন নিয়ে আসছে।’

তিনি বলেন, ‘এখানকার নাগরিকরা আমাকে চেনেন। আমি তাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত। সুখে-দুঃখে তাদের পাশে আছি। বাড়ি-বাড়ি গিয়ে নাগরিকদের কাছে ভোট চাচ্ছি। প্রচুর সাড়া পাচ্ছি। পাশাপাশি ফেসবুকেও প্রচারণা চলছে। আমার গণসংযোগগুলো, অন্যান্য প্রচারণাগুলো অনলাইনে প্রচার করা হচ্ছে। ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডবাসীর চাহিদাগুলো তুলে ধরা হচ্ছে, নাগরিকদের জন্য আমি কি করতে চাই তা তুলে ধরা হচ্ছে।’

বর্তমান কাউন্সিলর নাগরিকদের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না এমন অভিযোগ স্থানীয় নাগরিকদের। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নাগরিক সনদ পেতেও অনেক ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে ওয়ার্ডবাসীকে। এছাড়া চাহিদা অনুযায়ী উন্নয়ন কাজ হয়নি। যেটুকু কাজ হয়েছে, তাও টেকসই হয়নি। এবিষয়ে প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী আজাদ বলেন, ‘বর্তমান কাউন্সিলর অনেক ধনি ব্যক্তি। তিনি ওয়ার্ডে সময় দিতে পারেননি। নাগরিকদের সময় দিতে হবে। কিন্তু তিনি সেটা দেননি। ২০১৫ সালে নির্বাচনের সময় তার কিছুটা জনসমর্থন ছিল। কিন্তু গত পাঁচ বছর জনপ্রতিনিধিকে কাছে না পেয়ে ক্ষুদ্ধ নাগরিকরা।’

ওয়ার্ডটিতে মো. ইসলাম চৌধুরী আজাদ ছাড়াও আরও চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। এদের মধ্যে মো. আলমগীর লাটিম প্রতীকে, মো. নাসির উদ্দিন সরকার ব্যাটমিন্টন, তৈমুর রেজা খোকন ঘুড়ি ও সাজেদা আলী হেলেন ঝুড়ি প্রতীক নিয়ে নির্বাচনের মাঠে রয়েছেন।

(ঢাকাটাইমস/২৮জানুয়ারি/কারই/ডিএম)