'৩২ নম্বর হবে ঢাকা দক্ষিণের মডেল ওয়ার্ড'

প্রকাশ | ২৯ জানুয়ারি ২০২০, ১৫:০৮ | আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০২০, ২০:৩৫

বোরহান উদ্দিন, ঢাকাটাইমস

ঢাকা দক্ষিণের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বংশাল থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইমরান হোসেন জন। দলের মনোনয়ন না পেলেও বিদ্রোহী হিসেবে কাউন্সিলর পদে লড়ছেন তিনি। মিষ্টি কুমড়া প্রতীকের এই প্রার্থীর প্রত্যাশা জনপ্রতিনিধি না হয়েও এলাকার সামাজিক নানা সমস্যা সমাধানে অতীতে কাজ করেছেন। তাই শনিবারের নির্বাচনে ভোটাররা তাকে বিজয়ী করবেন।

অন্য প্রার্থীদের মতো নানা প্রতিশ্রুতি দেয়ার পাশাপাশি নিজের ওয়ার্ডকে নির্বাচিত হলে ঢাকা দক্ষিণের মডেল ওয়ার্ড হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেন বলে ঢাকাটাইমসকে জানালেন সাবেক এই ছাত্রলীগ নেতা।

নির্বাচনের মাঠে কেন?

এলাকার মানুষের জন্যই নির্বাচনে আসা। তারা আমাকে ভালোবাসেন। এছাড়াও আমি গত পাঁচ বছর ধরে এলাকার বেশ কিছু সমস্যার সমাধান নিজ উদ্যোগে করেছি। কারণ রাজনীতিতে আসার পর থেকেই মানুষের জন্য কিছু করার ইচ্ছা ছিলো। নিজের শ্রম, অর্থ ও মেধা দিয়ে কাজ করলে এজন্য পুণ্য পাওয়া যায় বলে বিশ্বাস করি।

দল মনোনীত প্রার্থীর বাইরে আপনাকে কেন ভোটাররা বেছে নেবে?

আমার বয়স মাত্র ২৭ বছর চলছে। ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলাম। সেখান থেকে থানা সভাপতি হয়েছি। কিন্তু চেষ্টা করেছি এরমধ্যেও নিজ উদ্যোগে, কখনো বা এলাকার মানুষের সহযোগিতায় এলাকার নানা ধরনের সমস্যা সমাধান করার। সাধারণ মানুষ যাকে ইতিবাচক হিসেবে নিয়েছেন। আশা করি আরও ভালো কাজ করার সুযোগ করে দিতে ভোটাররা পাশে থাকবেন। বিজয়ী করবেন।

কোন ধরনের সমস্যা সমাধান করেছেন?

বহু বছর ধরে এলাকায় রাস্তার পাশে সরকারিভাবে পানির কল লাগানো আছে, যা মূলত এলাকার রিকশাচালক, পথচারী ও নিম্ন আয়ের মানুষ ব্যবহার করত। চলার পথে পানির পিপাসা লাগলে ওই কলগুলো দিয়েই পানি পান করত। কিন্তু এগুলো ভাঙা থাকায় কাজে আসত না। আবার পানি পড়ে যাওয়ার কারণে বাসা বাড়ির রিজার্ভে পানি পাওয়া যেত না। পরে আমি নিজে থেকে ১৯টি এমন কল ঠিক করে সেখানে চাপকল লাগিয়ে দিয়েছি। এখন মানুষ উপকার পাচ্ছে।

নয়াবাজার এলাকায় চুরি ডাকাতি ছিনতাই ও মাদক ব্যবসা হতো। এই সমস্যার সমাধানে নিজ উদ্যোগে প্রতিটি অলিগলিতে সব মিলে ১৪০টি সিসিটিভি স্থাপন করেছি। শুধু তাই নয়, প্রতিটি পঞ্চায়েতের দপ্তরে এসব সিসিটিভির ফুটেজ সংরক্ষণের জিভিআর বুঝিয়ে দিয়েছি। ফলে এলাকার মধ্যে এখন অন্যায়-অপকর্ম হলে কে জড়িত তা চিহ্নিত করা সম্ভব হচ্ছে। এখন এসব ঘটনা কমে আসছে। এলাকাবাসী সুফল পাচ্ছেন।

আমার ইচ্ছা ছিলো স্কুল কিন্তু কোনো প্রতিষ্ঠানের সামনে ডাস্টবিন থাকবে না। এমন চারটি ডাস্টবিন এলাকাবাসীকে নিয়ে আমি উচ্ছেদ করেছি। যা অনেকেই অনেক চেষ্টা করে তুলতে পারেনি। চেয়েছিলাম বাসা বাড়ি থেকে পরিচ্ছন্ন কর্মীরা ময়লা নিয়ে আসবেন। এখন পাঁচটি এলাকার ময়লা কর্মীরা সংগ্রহ করে নিচ্ছে। ফলে এলাকা অনেকটা পরিষ্কার। যদিও কারও কারও কাছে এটা ভালো লাগেনি।

ডেঙ্গুর প্রকোপের সময় জনপ্রতিনিধি না হয়েও প্রতিনিয়ত মশা নিধনের ওষুধ দিয়েছি। এডিস মশার লার্ভা ধ্বংসের জন্য নিজ উদ্যোগে প্রতিদিন সকালে ড্রেনে ওষুধ ছিটিয়েছি, যা এলাকার মানুষ জানে।

ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল সবাই যাতে পেতে পারেন সেজন্য এলাকার ৪১টি পয়েন্টে ফ্রি ওয়াইফাই জোন করে দিয়েছি।

ভোটারদের কি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন?

ভোটারদের কাছে যাচ্ছি। ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। কাউন্সিলর হতে পারলে সবার পরামর্শে আরও যেসব সমস্যা এলাকায় আছে তা সমাধানে আন্তরিকভাবে কাজ করবো। শুধু কথায় নয়, কাজের মাধ্যমে দক্ষিণ সিটিতে মডেল হিসেবে ৩২ নম্বর ওয়ার্ডকে প্রস্তুত করবো।