করোনাভাইরাস থেকে বাঁচবেন কীভাবে

স্বাস্থ্য ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৯ জানুয়ারি ২০২০, ১৬:৫৬ | প্রকাশিত : ২৯ জানুয়ারি ২০২০, ১৬:৫৩

বিশ্বব্যাপী মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। চীনের মধ্যবর্তী হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়ে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার চীনসহ বিভিন্ন দেশে ক্রমেই বেড়েই চলেছে। চীনেই সর্বপ্রথম এই ভাইরাসের খবর পাওয়া যায়। আস্তে আস্তে এটি গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে।

করোনাভাইরাস চীনের বাজারে পাওয়া প্রাণীজ পণ্য বা সামুদ্রিক খাবার থেকে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে।

করোনাভাইরাসের প্রথম খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল ১৯৬০ সালে একজন রোগীর মধ্যে, যিনি সর্দিতে ভুগছিলেন।

করোনাভাইরাস শব্দটি ল্যাটিন করোনা থেকে নেওয়া হয়েছে যার অর্থ জ্যোতির্বলয়। সূর্য থেকে ছিটকে পড়া আলোকরশ্মির মতো। এই ভাইরাস নামটি এসেছে এর আকৃতির ওপর ভিত্তি করে। ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপে এই ভাইরাসটি ক্রাউন বা মুকুটের মতো দেখতে হওয়ায় এর নাম হয়েছে 'করোনা'।

করোনাভাইরাসের উপরিভাগে প্রোটিন সমৃদ্ধ থাকে যা ভাইরাল স্পাইক পেপলোমার দ্বারা এর অঙ্গসংস্থান গঠন করে৷ এ প্রোটিন সংক্রামিত হওয়া টিস্যু বিনষ্ট করে৷ সকল প্রজাতির করোনাভাইরাসে সাধারণত স্পাইক (এস), এনভেলপ (ই), মেমব্রেন (এম) এবং নিউক্লিওক্যাপসিড (এন) নামক চার ধরনের প্রেটিন দেখা যায়৷ এছাড়া করোনাভাইরাসের অনেক রকম প্রজাতি রয়েছে৷

এখনও অবধি বিজ্ঞানীরা প্রায় ছয়টি করোনাভাইরাস সনাক্ত করেছেন, যা মানুষকে প্রভাবিত করে এবং হালকা থেকে মারাত্মক লক্ষণ সৃষ্টি করে।

করোনাভাইরাস ছড়ানোর কারণ

হিউম্যান করোনাভাইরাস সাধারণত একজন ব্যক্তির শ্বাসনালীকে প্রভাবিত করে। শ্বাসনালীতে সংক্রমিত তরল কাশি বা হাঁচির সময় এক ব্যক্তির থেকে আরেক ব্যক্তির মধ্যে চলে যায়। এছাড়াও, যদি সংক্রমিত ব্যক্তি মুখ না ঢেকে খোলা বাতাসে হাঁচি বা কাশি দেয়, তাহলে ভাইরাসটি বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে।

ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার অন্যান্য কারণ হল, সংক্রমিত ব্যক্তির সঙ্গে হ্যান্ডশেক, সংক্রমিত কোনও বস্তুর সাথে নাক বা মুখ একসঙ্গে স্পর্শ করা এবং বিরল ক্ষেত্রে, রোগীর মলমূত্র স্পর্শ করা।

করোনাভাইরাসের লক্ষণ

  • সর্দি
  • গলা ব্যথা
  • কাশি
  • মাথা ব্যাথা
  • জ্বর
  • হাঁচি
  • অবসাদ
  • শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া।

এক্ষেত্রে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায় এবং যারা বয়স্ক তাদের এই ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে এবং নিউমোনিয়া বা শ্বাস নালীর ব্যাধির মতো মারাত্মক অসুস্থতায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি থাকে। মার্স এবং সার্স-এর লক্ষণগুলি মারাত্মক হয়, এর কারণে গুরুতর শ্বাসকষ্টের সমস্যা, কিডনিতে সমস্যা, ডায়রিয়া এবং কোনও ব্যক্তির মৃত্যুও হতে পারে।

হিউম্যান করোনাভাইরাস প্রতিরোধ

  • হাঁচি বা কাশির পরে হাত ধুয়ে নিন।
  • কাশি বা হাঁচির আগে মুখ ঢেকে নিন।
  • ভাইরাস থেকে বাঁচতে মুখে মাস্ক ব্যবহার করুন
  • আপনার যদি মনে হয় যে আপনি সংক্রমিত, তাহলে কোনও ব্যক্তির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা এড়িয়ে চলুন।
  • রান্না না করা মাংস এবং ডিম খাওয়া এড়ান।
  • নিজেকে সারাক্ষণ হাইড্রেট রাখুন।
  • লক্ষণগুলো দেখা দেওয়ামাত্রই ওষুধ খান এবং পরিস্থিতি গুরুতর হয়ে উঠতে দেবেন না।
  • ধোঁয়াটে এলাকা বা ধূমপান করা এড়িয়ে চলুন।
  • যথাযথ বিশ্রাম নিন।
  • ভিড় থেকে দূরে থাকুন।

(ঢাকাটাইমস/২৯জানুয়ারি/আরজেড)

সংবাদটি শেয়ার করুন

স্বাস্থ্য বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

স্বাস্থ্য এর সর্বশেষ

গরমে স্বাস্থ্যঝুঁকি সম্পর্কে সচেতনতা অত্যন্ত জরুরি

ঔষধি গাছ থেকে তিন শতাধিক ওষুধ তৈরি হচ্ছে ইরানে

কণ্ঠের সব চিকিৎসা দেশেই রয়েছে, বিদেশে যাওয়ার প্রয়োজন নেই: বিএসএমএমইউ উপাচার্য 

এপ্রিল থেকেই ইনফ্লুয়েঞ্জা মৌসুম শুরু, মার্চের মধ্যে টিকা নেওয়ার সুপারিশ গবেষকদের

স্বাস্থ্য খাতে নতুন অশনি সংকেত অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ভাতা বাড়লো ইন্টার্ন চিকিৎসকদের

বিএসএমএমইউ বহির্বিভাগ ৪ দিন বন্ধ, খোলা থাকবে ইনডোর ও জরুরি বিভাগ

তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজ করতে বললেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

বিএসএমএমইউতে বিশ্বের সর্বোৎকৃষ্ট মানের চিকিৎসা নিশ্চিত করা হবে: ভিসি দীন মোহাম্মদ

ঈদের ছুটিতে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে যেসব নির্দেশনা মানতে হবে হাসপাতালগুলোকে

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :