‘ডাকাত ভাড়া করে স্কয়ার ফার্মার কাঁচামাল ছিনতাই’

প্রকাশ | ২৯ জানুয়ারি ২০২০, ১৭:৪৮ | আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০২০, ১৮:১৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালের ওষুধ তৈরির কাঁচামাল ছিনতাই হয়েছিল। এই চক্রের মূলহোতা অপু রোজারিও বিভিন্ন জেলা থেকে ডাকাত দলের সদস্যদের ভাড়া এনে এই  ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটান।

মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর কলাবাগান, রাজশাহী ও পাবনায় পৃথক অভিযান চালিয়ে ছিনতাই হওয়া দুই কোটি টাকা মূল্যের ৬০ ড্রাম কাঁচামাল উদ্ধার করে র‌্যাব। এ সময় ঘটনার মূলহোতাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে বাহিনীটি। তারা হলেন- অপু রোজারিও, রুহুল আমিন ও জামাল হোসেন।

বুধবার দুপুরে কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক অ্যাডিশনাল ডিআইজি মোজাম্মেল হক।

মোজাম্মেল হক জানান, গত ১৪ জানুয়ারি বিদেশ থেকে ২৬৯ ড্রাম ওষুধ তৈরির কাঁচামাল আমদানি করে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল। শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে এলে, সেগুলো একটি কাভার্ড ভ্যানে নিয়ে গাজীপুরের কালিয়াকৈরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। ওই দিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে খাড়াজোড়া সাকিনে এলাকা থেকে ছিনতাই হয় কাভার্ডভ্যানটি। প্রথমে ডিবি পুলিশের পোশাক পরা কয়েকজন কাভার্ড ভ্যানটি থামাতে সিগন্যাল দেয়। ভ্যানে অবৈধ মালামাল আছে জানিয়ে তাদের আটক করে বিমানবন্দর থানায় নেওয়া হবে জানিয়ে চালক ও হেলপারকে জোর করে একটি মাক্রোবাসে তুলে নেওয়া হয়। পরে উত্তরা দিয়াবাড়ি এলাকায় হাত বেঁধে ফেলে দেওয়া হয়।

এ সময় পণ্যভর্তি কাঁচামাল নিয়ে আরেকটি গ্রুপ অন্যত্র চলে যায়। স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল এ ঘটনায় একটি মামলা করে। মামলার পর কালিয়াকৈর থেকে পরিত্যাক্ত অবস্থায় কাভার্ড ভ্যানটি উদ্ধার করে পুলিশ। গতকাল (মঙ্গলবার) সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত র‌্যাব-পুলিশের যৌথভাবে অভিযান চালায়। অভিযানে পুলিশ ২০৯টি ও র‌্যাব ৬০টি ড্রাম উদ্ধার করে।

অ্যাডিশনাল ডিআইজি মোজাম্মেল হক বলেন, ‘অভিযানে মোট আটজনের একটি দল অংশ নেয়। এই দলের মূলহোতা অপু রোজারিও। তিনি বিভিন্ন এলাকা থেকে ডাকাত ভাড়া করে এনে ছিনতাইয়ের ঘটনাটি ঘটায়। ডাকাতির পর ওষুধের কাঁচামাল কোথায় বিক্রি করা হবে সেই মাস্টার মাইন্ডকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি র‌্যাব। তাকে গ্রেপ্তার করলে জানা যাবে কোনো ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি তাদের কাছ থেকে চোরাই এ ধরনের কাচামাল কিনে থাকে।’

এর আগেও চক্রটি এ ধরনের দুটি ঘটিয়েছে জানিয়ে মোজাম্মেল হক জানান, ‘তারা একটি সংঘবদ্ধ চক্র। এই দলে ১০/১২ জন সদস্য আছে। দীর্ঘদিন পুলিশ, ডিবি, সিআইডির পরিচয়ে ডাকাতি করে আসছে। ডাকাতির সময় হ্যান্ডকাপ, ওয়াকিটকি সেট ও বিভিন্ন জ্যাকেট ব্যবহার করত তারা।’

ঢাকাটাইমস/২৯জানুয়ারি/এসএস/ইএস