চাকরির আবেদন ফি কমানোর দাবি

প্রকাশ | ২৯ জানুয়ারি ২০২০, ১৮:২২

ঢাবি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

চাকরির আবেদন ফি কমানোর দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। এ দাবিতে বুধবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য এলাকায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন তারা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের সহস্রাধিক শিক্ষার্থী এতে অংশ নেন। সাধারণ চাকরিপ্রার্থীদের ব্যানারে এই মানববন্ধন কর্মসূচির ডাক দেয়া হয়।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, অনেক চাকরির আবেদনে দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত নেয়া হচ্ছে। যা বেকার চাকরিপ্রার্থীদের অনেকের দেয়ার সামর্থ্য নেই। তারা বলেন, সবার জন্য যাতে আবেদনের সুযোগ তৈরি হয়, সেজন্য অবশ্যই চাকরির আবেদন ফি কমাতে হবে। অন্যথায় বৈষম্য তৈরি হচ্ছে। যারা বিত্তশালী তারা আবেদন করতে পারছেন, অন্যরা টাকার অভাবে আবেদন করা থেকে বঞ্চিত থেকে যাচ্ছে।

সাধারণ চাকরি প্রার্থীদের ব্যানারে আয়োজিত এ কর্মসূচির আহ্বায়ক ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১১-১২ সেশনের শিক্ষার্থী আবু বকর ইয়ামিন। তিনি বলেন, ‘একজন বেকারের পক্ষে মেসে বা হলে থেকে মানবেতর জীবনযাপন করার পর কীভাবে প্রতি মাসে দুই তিন হাজার টাকা চাকরির আবেদন বাবদ আবেদন ব্যয় করবে? এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। অনেকে মেধাবী ও দক্ষ হওয়া সত্ত্বেও অর্থের অভাবে ভালো ভালো জায়গায় আবেদন করতে পারছেন না। যেখানে বিত্তশালীরা আবেদন করছে খুব সহজেই। যেটা বৈষম্য তৈরি করছে।’

‘আমরা ইতিমধ্যে জানতে পেরেছি যে, সরকার চিকিৎসা ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট ফি রাখার ব্যবস্থার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। সে রকম চাকরিপ্রার্থীদের জন্য একটি উদ্যোগ নেবেন বলে আশা রাখি।’

তিনি বলেন, ‘এটা সাধারণ চাকরিপ্রার্থীদের আবেদন। সরকারবিরোধী আন্দোলন নয়। কোটা আন্দোলনকারী বা সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদ নামে কোনো সংগঠনের সাথেও আমাদের সংশ্লিষ্টতা নেই।’ কেউ যাতে এ আন্দোলনকে ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করতে না পারে সেজন্য সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান ইয়ামিন।

তিনি বলেন, ‘এখন সংসদ অধিবেশন চলছে। আমরা মনে করি এ সময়ে প্রধানমন্ত্রী বেকারদের কথা চিন্তা করে একটা সিদ্ধান্ত নেবেন।’

পরবর্তী কোনো কর্মসূচি আছে কি না জানতে চাইলে আবু বকর ইয়ামিন বলেন, ‘আমাদের পরবর্তী কোনো কর্মসূচি নেই। এটা শুধু সাধারণ একটি কর্মসূচি ছিল। পরবর্তী সময়ে যদি কোনো কর্মসূচি থাকে আমরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সহযোগিতায় জানিয়ে দেব।’

এ সময় তিনি চাকরির আবেদন ফি চারটি স্তরে রাখার দাবি জানান। এরমধ্যে নবম গ্রেডের জন্য আবেদন ফি ২০০ টাকা, ১০ম গ্রেডের জন্য আবেদন ফি ১৫০ টাকা, ১১ থেকে ১৪তম গ্রেডের জন্য আবেদন ফি সর্বোচ্চ ১০০ টাকা এবং ১৫ থেকে ২০তম গ্রেডের জন্য আবেদন ফি সর্বোচ্চ ১০০ টাকা নির্ধারণের দাবি জানান।

জানা যায়, বর্তমানে সাধারণত ৯ম গ্রেডের জন্য এক হাজার টাকা, ১০ গ্রেডের জন্য ৫০০ টাকা, ১৭-২০ গ্রেড পর্যন্ত ২০০ টাকা আবেদন ফি নেয়া হয়। অনেক ক্ষেত্রে ১০ম গ্রেডে এক হাজার টাকা এবং ১৩-১৪ গ্রেডে ৭০০ টাকা আবেদন ফি নেয় কর্তৃপক্ষ।

(ঢাকাটাইমস/২৯জানুয়ারি/এমআই/জেবি)