উন্নয়ন কমিটি করে সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি নাঈমের

প্রকাশ | ২৯ জানুয়ারি ২০২০, ২১:৪৮

বোরহান উদ্দিন, ঢাকাটাইমস

নির্বাচিত হলে সকল শ্রেণি-পেশার সৎ, যোগ্য মানুষের সমন্বয়ে উন্নয়ন কমিটি করবেন। এরপর তাদের মাধ্যমে সমস্যা চিহ্নিত করে তা সমাধান করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণের ৫৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মোহাম্মদ নাঈম।

বিএনপি সমর্থিত এই কাউন্সিলর প্রার্থী কামরাঙ্গীরচর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। নির্বাচনের প্রচার প্রচারণায় সরকারি দল সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীর লোকজন বাধা দিয়েছে এমন অভিযোগও আছে তার। তবে আশা করছেন সুষ্ঠু ভোট হলে বিজয়ী হবেন।

সার্বিক বিষয় নিয়ে ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডের চামচ মার্কার প্রার্থী মোহাম্মদ নাঈম কথা বলেছেন ঢাকা টাইমসের সঙ্গে।

প্রচারণা কেমন করলেন?

নানা রকম বাধা বিপত্তির মধ্যেও চেষ্টা করেছি ভোটারদের কাছে গিয়ে দোয়া এবং সমর্থন আদায় করতে। আশা করি সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ফলাফল ইতিবাচক হবে, কারণ আমাদের পোস্টার লাগাতেও দেয়নি। গণসংযোগ করতে পারিনি। আজকেও থানায় আবেদন দেয়ার পর ছাত্রলীগ-যুবলীগের বাধায় পূর্ব রসুলপুরে গণসংযোগ করতে পারিনি।

ভোটারদের কি কি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন?

আমি মনে করি এলাকার সমস্যা আগে চিহ্নিত করতে হবে। পরে সমাধান। যে কারণে আমার পরিকল্পনা হলো- নির্বাচিত হলে প্রত্যেক মহল্লার ইমাম, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও সকল শ্রেণি-পেশার সৎ, যোগ্য মানুষদের সমন্বয়ে উন্নয়ন কমিটি করবো। তাদের মতামতের ভিত্তিতে সমস্যা চিহ্নিত করে নিজের মেধা ও দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে তার সমাধান করব।

ওয়ার্ডের মা-বোনদের সুচিকিৎসা নিশ্চিতের জন্য একটি আধুনিক মাতৃসদন স্থাপন করা হবে। গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানি সবার জন্য নিশ্চিতে কাজ করবো।সুয়ারেজ লাইন, নির্দিষ্ট স্থানে ডাস্টবিন ও পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করা হবে।

এলাকাকে যানজটমুক্ত করতে রসুলপুরের সকল রাস্তাকে বেড়িবাঁধের সঙ্গে সংযুক্ত করা, কুঁড়ার ঘাট থেকে শহীদ নগর বেড়িবাঁধ দিয়ে চলাচলের জন্য সংযোগ সেতু স্থাপন করা হবে।

এছাড়াও ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন, পাঠাগার, মিনিপার্ক, খেলার মাঠ ও ব্যায়ামাগার নির্মাণ করা হবে।সন্ত্রাস, ‍দুর্নীতি ও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স থাকবো। আর নিরাপত্তার স্বার্থে পুরো ওয়ার্ডকে সিসিটিভির আওতায় আনা হবে।

জয়ের ব্যাপারে কতটা আশাবাদী?

জন্মসূত্রে আমি কামরাঙ্গীরচরের ছেলে। এখানেই বেড়ে ওঠা, রাজনীতি। সব কিছুই এই এলাকার মানুষদের নিয়ে। আশা করি ভোটাররা ভোট দিতে পারলে চামচ মার্কার জয় হবে। কারণ অতীতের অভিজ্ঞতা এখানকার মানুষের ভালো নয়।

ভোটের দিনের পরিবেশ নিয়ে কোনো শঙ্কা আছে কি না?

অবশ্যই আছে। কারণ প্রচারণার সময় সরকারি দলের লোকজন প্রতিনিয়ত বাধা দিয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা সেইভাবে পাইনি। ভালো ভোট হলে আমরা জয়ী হবো এমনটা বুঝতে পেরে এমনটা করা হচ্ছে। তাই বেশি শঙ্কা ভোটের দিনে কেমন থাকবে পরিবেশ। তারপরও আশা করি ভোটাররা এবার কেন্দ্রে যাবেন। পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবেন।

ঢাকাটাইমস/২৯জানুয়ারি/বিইউ/ইএস