আশুলিয়ায় মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা, শিক্ষক গ্রেপ্তার
সাভারের আশুলিয়ায় একটি কওমি মাদ্রাসার এক শিশু শিক্ষার্থীকে (১২) ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে ওই মাদ্রাসার শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার নাম ছলিম আহমদ।
বুধবার আশুলিয়া থানায় তার বিরুদ্ধে দেয়া লিখিত অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়। পরে তাকে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
ধর্ষণ চেষ্টায় জড়িত শিক্ষক ছলিম আহমদ (২৭) মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা থানাধীন মাইজগ্রাম এলাকার সমছ উদ্দিনের ছেলে। তিনি আশুলিয়ার ভাদাইলের পবনারটেক এলাকার মারকাজুল কুরআন ও সুন্নাহ মাদ্রাসার শিক্ষক।
মামলার এজাহারে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর বাবা জানান, তিনি পেশায় একজন গাড়ি চালক এবং তার স্ত্রী একটি তৈরি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। তার একমাত্র মেয়ে বাসা সংলগ্ন কওমি মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণিতে লেখাপড়া করে। বেশকিছুদিন ধরে মাদ্রাসার শিক্ষক ছলিম আহমদ তার মেয়েকে বিভিন্ন সময় জড়িয়ে ধরে এবং শরীরের স্পর্শকাতর অঙ্গে হাত দেন। গত ১০ জানুয়ারি সকালেও ওই শিক্ষক তার মেয়েকে ডেকে নিয়ে জড়িয়ে ধরেন। একপর্যায়ে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালান। কিন্তু মেয়েটি চিৎকার করলে তাকে ছেড়ে দেয় এবং বিষয়টি কাউকে জানালে তাকে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেন। এরপর থেকেই তার মেয়ে ভয়ে আর মাদ্রাসায় যাচ্ছে না। বাসা থেকে মাদ্রাসায় যেতে বললেই মেয়েটি শুধু কান্নাকাটি করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায় ভুক্তভোগী ওই মাদ্রাসাছাত্রী পরিবারের কাছে এসব ঘটনা খুলে বলে। এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ ইউনুস বলেন, ভুক্তভোগী মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর বাবা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে ওই মাদ্রাসায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করা হয়।
ঢাকাটাইমস/২৯জানুয়ারি/ইএস