বইমেলায় মায়ের স্বস্তি দেবে ‘ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার’
মায়েদের নির্বিঘ্নে বইমেলা উপভোগের জন্য এবারের মেলায় থাকছে ‘ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার’। বৃহস্পতিবার বইমেলা নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এবারের নতুন সংযোজন হিসেবে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার থাকবে বলে জানিয়েছেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী।
তিনি বলেন, জনবহুল জায়গায় মায়ের অস্বস্তি দূর করতে এবং মাতৃদুগ্ধের গুরুত্ব বোঝাতে অমর একুশে বইমেলায় এ উদ্যোগটি নেয়া হয়েছে। বইমেলায় এই ব্রেস্টফিডিং কর্নারটি থাকবে পুলিশের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কাছে।
যদিও আন্তর্জাতিকভাবে ১ থেকে ৭ আগস্ট বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ পালিত হয়ে আসছে। বাংলাদেশেও ২০১০ সাল থেকে প্রতিবছর বিশ^ মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ পালন করে আসছে। হতাশার কথা হলো প্রায় ১ যুগ পার হতে চলেছে মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ পালনের কিন্তু অফিস, আদালত,শপিং মল, ব্যাংক,বীমা, হাসপাতাল, রেলওয়ে ও বাস টার্মিনালসহ প্রতিটা জনবহুল জায়গায় ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপন ও আগে তৈরি করা কর্নারগুলো সচল করার নির্দেশনা মানছে না অনেক প্রতিষ্ঠানই। তবে এবারের অমর একুশে বইমেলায় এ উদ্যোগটি মা এবং সন্তানের স্বাস্থ্যের বিষয়টি নজরে রাখার জন্য প্রশংসার পাশাপাশি পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা মেনে চলাটাও জরুরি মনে করেছেন অনেকে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন এন্ড জেন্ডার স্টাডিজের শিক্ষক ড. তানিয়া হক ঢাকা টাইমসকে বলেন, মা সন্তানকে যেকোনো জায়গায় বুকের দুধ খাওয়াবে বিষয়টি খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু আমাদের দেশে যেহেতু ঘরের বাইরে এটা প্রচলিত না সেক্ষেত্রে এরকম ব্রেস্টফিডিং কর্নার সবক্ষেত্রেই জরুরি। কারণ এখন আমাদের দেশে আনাচে কানাচে জায়গাতেও নারীরা কাজ করছে। সেক্ষেত্রে বইমেলায় ব্রেস্টফিডিং কর্নার রাখাটা নিঃসন্দেহে খুব চমৎকার উদ্যোগ। তবে এ মেলাগুলো তো অস্থায়ী। একমাস পর শেষ হয়ে যাবে। তাই স্থায়ী যেমন অফিস, শপিংমলসহ সেসব জায়গাতে অবশ্যই ব্রেস্টফিডিং কর্নার রাখা উচিত। বইমেলা থেকে এ ধরনের উদ্যোগ নেয়ার ব্যাপারটি অন্যদের জন্য উদাহরণ হতে পারে।
আগামী ২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ রবিবার বিকাল ৩টায় বইমেলা উদ্বোধন করা হবে। ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। আর ছুটির দিনে বেলা ১১ টা থেকে রাত ৯টা এবং ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৮টা পর্যন্ত মেলা চলবে।
(ঢাকাটাইমস/৩০জানুয়ারি/টিএটি/ডিএম)