সপ্তম জন্মদিনে অতিথিরা

সাহিত্যকে সজীব রাখছে তারুণ্যের শব্দঘর

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ৩১ জানুয়ারি ২০২০, ১৭:১৪ | প্রকাশিত : ৩১ জানুয়ারি ২০২০, ১৬:৫৩

এক পা-দু পা করে সাত বছরে ‘শব্দঘর’। উপলক্ষটি আনন্দের। প্রাপ্তির। তৃপ্তির। এমন শুভক্ষণ হৃদয়ে অটুটু থাকুক, কে না চান? তাই তো শুক্রবার বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ভবনে ‘বাতিঘর’ মেতেছিল প্রাণের আড্ডা-উচ্ছ্বাসে। লেখক, সাহিত্যিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এবং পাঠক-শুভাকাক্সিক্ষদের উপস্থিতি শীতের সকালে আলতো উষ্ণতা ছড়িয়েছিল হৃদয়ে।

সাহিত্য-সংস্কৃতির মাসিক পত্রিকা ‘শব্দঘর’-এর এবারের জন্মদিনের বিশেষ সংখ্যাটি উৎসর্গ হয়েছে কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের করকোমলে। ‘সেলিনা হোসেন: চিরায়ত স্বাধীনতাপিয়াসি মানুষের কথক’।

জন্মদিবসের আয়োজনে অতিথিরাও এসেছিলেন প্রাণের টানে। কেবল অতিথিদের সম্মানিত পদটিকে আলঙ্কৃত করতে নয়, মিশে যেতে সাহিত্যপ্রেমীদের সমাবেশে। ‘সাহিত্য-আড্ডায় পাঠ-আলোচনা’ অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন সর্বজন শ্রদ্ধেয় আলোকিত মানুষ বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। তিনি বলেন, ‘শব্দঘরের মতো পত্রিকা সাহিত্যকে সজীব রেখেছে। সাহিত্যের সেই যে গাছ, তার গোড়ায় জল সিঞ্চন করে যাচ্ছে, এ জন্য এর যারা কর্মী, উদ্যোক্তা তাদের সম্মান জানাই। শ্রদ্ধা জানাই। মোহিত কামালকেও শ্রদ্ধা জানাই এ জন্য যে এতদিন পর্যন্ত কড়কড়ে টাকার মতো, কড়কড়ে পত্রিকা মাসে মাসে আমার বাসায় এসে হাজির হয়। আমার বাসা ছোট। এত বই রাখার জায়গা নেই। তবুও শব্দঘরকে আমি যত্ন করে রাখি। দেখতে ভালো যে, অনেক ভালো লেখা এর মধ্য দিয়ে প্রকাশিত হচ্ছে। যদি নতুন কোনো সাহিত্য চিন্তাকে এর মাধ্যমে বেগবান করা যায়, তবে আরও ভালো হবে।’

শব্দঘরের শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় সিক্ত কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, তরুণ লেখকদের তুলে আনার ক্ষেত্রে শব্দঘরের মতো এখন আর কোনো পত্রিকা আমি দেখতে পাই না। এই সময়ের তরুণরা কী লিখছে শব্দঘরের পাতা উল্টালে আমি পড়তে পারি। তাদের অনেকেই ভালো লিখছে। তরুণরাই আগামীর ভবিষ্যৎ। শব্দঘর তাদের জায়গা করে দিচ্ছে। তারা এই বিষয়টি বুঝতে পারছে। এটি অব্যাহত থাকুক, এই শুভ কামনা করছি।

সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার বলেন, মোহিত কামাল বরাবরই আমার কাছে বিস্ময়। কী করে একটি মানুষ এত কাজ করতে পারে? তিনি পেশাগত ব্যস্ততার মাঝেও নিয়মিত একটি মাসিক পত্রিকা প্রকাশ করে যাচ্ছেন, এ জন্য তাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।’

আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে আরও ছিলেন, বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক ফোকলোর গবেষক শামসুজ্জামান খান, কবি কামাল চৌধুরী, কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন, আনিসুল হক, বিশ্বজিৎ ঘোষ, বিশ্বজিৎ সাহা, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ। তারাও সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় শুভেচ্ছা জানান ‘শব্দঘর’কে।

তরুণ গল্পকারদের গল্প নিয়ে প্রকাশিত শব্দঘরের বিশেষ দুটি সংকলন নিয়ে আলোচনা করেন সরকার আব্দুল মান্নান, মিলটন বিশ্বাস, মনি হায়দার ও ইশরাত তানিয়া।

অনুষ্ঠানে কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের হাতে শব্দঘরের শুভেচ্ছা স্মারকটি তুলে দেন অতিথিরা। পরে কেক কেটে জন্মদিন উদযাপন করা হয়।

অনুষ্ঠানের প্রান্তে অতিথিদের ধন্যবাদ জানান শব্দঘর সম্পাদক কথাসাহিত্যিক মোহিত কামাল।

ঢাকাটাইমস/৩১জানুয়ারি/এইচএফ

সংবাদটি শেয়ার করুন

ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :