কম ভোটারে কর্মকর্তাদের অলস সময়
ঢাকার দুই সিটিতে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। শনিবার সকাল আটটা থেকে দুই সিটির প্রতিটি কেন্দ্রে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হলেও অনেক কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি খুবই কম। এ কারণে সেসব কেন্দ্রে অলস সময় কাটাচ্ছেন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারা। খোশ গল্প করে সময় পার করছেন তারা।
শনিবার সকাল আটটা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত উত্তরার বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।
সরেজমিনে উত্তরার বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের মধ্যে তেমন আগ্রহ নেই। অধিকাংশ কেন্দ্রে ভোটার নেই। কর্মকর্তারা গল্প করে সময় পার করছেন। কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা না থাকায় সাংবাদিকদেরও কাজের চাপ কম। তবে ভোটারদের সাক্ষাতকার এবং ছবি গ্রহণের জন্য তাদের এক কেন্দ্র থেকে অন্য কেন্দ্রে ছুটতে হচ্ছে।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উত্তরা স্কুল অ্যান্ড কলেজে ঢুকে কোনো ভোটারকে চোখে পড়েনি। এই কেন্দ্রের একটি বুথে ৪১৪ ভোটের মধ্যে পড়েছে মাত্র ১০টি। আরেকটি বুথে ৩৭৬ ভোটের মধ্যে পড়েছে ১২টি। কোনো কোনো বুথে সাড়ে তিন ঘণ্টায় ছয়টি থেকে আটটি ভোট পড়েছে।
নওয়াব হাবিবুল্লাহ স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে গিয়েও এমন চিত্র দেখা গেছে। এই কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা প্রিজাইডিং অফিসার আবদুস সালাম জানান, ‘আমার কেন্দ্রে ২ হাজার ২২৯ ভোট আছে। সাড়ে ১১টার সময় মাত্র ৫০টি ভোট পড়েছে।’
কেন্দ্রটির বিভিন্ন বুথ ঘুরে দেখা যায়, আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের পোলিং এজেন্ট থাকলেও বিএনপির কোনো পোলিং এজেন্ট নেই। আওয়ামী লীগের যারা পোলিং এজেন্ট আছেন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের মতো তারাও খোশগল্প করে সময় কাটাচ্ছেন।
সকাল আটটায় ঢাকার দুই সিটিতে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলবে বিকাল চারটা পর্যন্ত। এবারের ভোটে ঢাকা উত্তরে ৩০ লাখ ১০ হাজার ২৭৩ জন ভোটার ভোট দেবেন। ঢাকা উত্তরে মেয়র পদে ছয়জন, সাধারণ কাউন্সিলরের ৫৪টি পদে ২৫১ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর ১৮টি পদে ৭৭ জন লড়াই করছেন।
ঢাকাটাইমস/০১ফেব্রুয়ারি/আরএ/এসএস/এএ/এমআর