আঙুলের ছাপ মেলেনি জাফরুল্লাহ চৌধুরীরও!

প্রকাশ | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৫:০২ | আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৫:০৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
জাফরুল্লাহ চৌধুরী (ফাইল ছবি)

ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএমে) ভোট দিতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীরও। ফিঙ্গার প্রিন্ট (আঙুলের ছাপ) না মেলায় বিড়ম্বনায় পড়েন তিনি।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে কাকলি হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজে ভোট দিতে যান জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এ সময় ইভিএমে ভোট দিতে গেলে আঙ্গুলের ছাপ না মেলায় বিড়ম্বনায় পড়তে হয় তাকে।

এর আগে রাজধানীর উত্তরা ৫ নম্বর সেক্টরের আইইএস স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ভোট দিয়ে গিয়ে ইভিএম মেশিনে আঙুলের ছাপ মেলেনি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদারও। পরে তিনি জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর দিয়ে ভোট দেন।

কাকলি হাইস্কুলে ভোট প্রদান শেষে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ইভিএম আমাকে আইডেন্টিফাই (চিহ্নিত) করতে পারলো না। আমার যখন আঙুলের ছাপ মিললো না, তখন আমার ভোট আরেকজন দিয়ে দিতে পারে। আমার নাম যে শিটে ছিল, সেখানে আরও ২৮ জনের নাম ছিল।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, ‘আমিসহ ওই শিটের ৪ জন ভোট দিয়েছে। আমার আঙুলের ছাপ না মেলায় নির্বাচনী কর্মকর্তারা আমাকে ভোট দেওয়ার জন্য ইভিএম অন করে দিল। সুতরাং যারা ভোট দিতে আসবে না তাদের ভোটতো অন্য কেউ দিয়ে দিতে পারে। ইভিএম মেশিনের আরও আধুনিকায়ন করা দরকার।’

এ সময় ভোট দিতে কেউ বাধা দেয়নি বলে জানান ঐক্যফ্রন্টের এই নেতা। জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমাকে ভোট দিতে কেউ বাধা দেয়নি। তবে ভোটকেন্দ্রে একটি নির্দিষ্ট দলের এজেন্ট ছাড়া আর কারো এজেন্ট নেই। আমি কেন্দ্রে দায়িত্বরতদের জিজ্ঞাসা করি, অন্যদের পোলিং এজেন্ট কই? তারা আমাকে বলে, একটু আগেই ছিল, হয়তো আশেপাশে আছে। এছাড়া কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতিও অনেক কম বলে জানান জাফরুল্লাহ।

ঢাকাটাইমস/১ফেব্রুয়ারি/এমআর