সিইসির পদত্যাগ চাইল ইসলামি আন্দোলন

প্রকাশ | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২০:২৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

নির্লজ্জ ভোট হয়েছে উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার পদত্যাগ দাবি করেছে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ।

শনিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সঙ্গে দেখা করে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরে এ দাবি জানান ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্মমহাসচিব গাজী আতাউর রহমান। সিইসির নিজ কার্যালয়ে এ বৈঠকে ইসির সচিব মো. আলমগীর উপস্থিত ছিলেন। 

ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্মমহাসচিব গাজী আতাউর রহমান সিইসির উদ্দেশে বলেন, ইভিএমের ওপর আপত্তি ছিল তার পরও আপনারা চাপিয়ে দিয়েছেন। মানুষ ভোট দিতে আসল না। কেন আসল না, প্রথমত ইভিএমের বিষয়ে ভোট দেয়া তারা জানে না। শিক্ষা কম, অভিজ্ঞতা কম তাই যায়নি। এর পর আগের রাত্রে আমাদের এজেন্টেদের হুকমি দেয়া হয়েছে। আমরা হতাশ, জনগণ হতাশ।

মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করা হয়েছে দাবি করে রাজনীতি ও রাজনৈতিক দলের প্রয়োজনীয়তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ যদি ভোট দিতে না পারে তাহলে রাজনীতি দরকার নেই। আর রাজনীতি দলেরও প্রয়োজন নেই। একদলীয় শাসন করে দিলেই হয়। ভোট দিতে না পারলে রাজনৈতিক দলের কেন প্রয়োজন। এই কথাগুলো আপনাদের কাছে বলার জন্য এসেছি।’

নির্বাচন পরিচালনার ব্যপারে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে সিইসিকে গাজী আতাউর বলেন, আমরা আশা করবো আপনি আর এই জাগায় থাকবেন না। যেহেতু আপনার মান ইজ্জতের প্রশ্ন। অতএব আপনি এই যায়গায় থাকাটা আমরা সমিচিন মনে করছি না। এই গ্লানি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের থাকাটা মোটেও উচিত হবে না।

সিইসি এসময় মনোযোগ দিয়ে কথা শুনেন। এর পর বলেন, এগুলো লেখা আছে এখানে? তখন গাজী আতাউর রহমান বলেন, ‘হ্যা এগুলো লেখা আছে।’ এর পর গাজী আতাউর রহমান বলেন, এগুলো জনগণের কথা তাই আমরা বলছি। এ সময় সিইসি বলেন, ঠিক আছে আলহামদুলিল্লাহ।

এর পর বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্মমহাসচিব গাজী আতাউর রহমান। তিনি বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ চেয়েছি। গত জাতীয় নির্বাচনের চেয়েও এবার নির্লজ্জ ভোট হয়েছে।

ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘বাংলাদেশে নির্বাচন উৎসব হলেও এবং ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের আসতে উৎসাহিত করার ঐতিহ্য থাকলেও আজ আমাদেরকে তার সম্পূর্ণ বিপরিত চিত্র দেখার নির্মম অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হলো।  ভোট কেন্দ্রে আমাদের মেয়র প্রার্থীদের প্রবেশ করতে না দেয়া, সরকার দলীয় লোকজনের আতঙ্ক ছড়ানোর মহড়া, কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেয়া ও মারধর করাসহ নানা অনিয়মে নির্বাচন আতঙ্কে রুপ নিয়েছে। অন্য দিকে ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে আসতে বিভিন্নভাবে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১ফেব্রুয়ারি/জেআর/ইএস)