চুয়াডাঙ্গায় শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২০:০২

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর গ্রামে সুমাইয়া খাতুন নামে সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে বাড়ির সামনে থেকে কৌশলে ওই শিশুকে নিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যার পর তার মরদেহ লুকিয়ে রাখা হয় শিম ক্ষেতে। হত্যার পর অভিযুক্ত পাশের পুকুর থেকে গোসল শেষে নিজ বাড়িতে অন্য দশজনের মতোই ঘুমিয়ে ছিল। তবে শেষ রক্ষা হয়নি তার।

পুলিশের রাতভর অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে হত্যার লোমহর্ষক বিবরণ। রাতেই গ্রেপ্তার হয়েছে ঠান্ডা মাথার এই খুনি। তার নাম মমিনুল। রবিবার বিকালে পুলিশ তাকে আদালতে হাজির করলে বিচারক মানিক দাসের সামনে অপরাধের কথা স্বীকার করেন। শিশু সুমাইয়াকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন তিনি।

জবানবন্দিতে মোমিনুল বলেছেন, দুই বছর আগে নিহতের ভাই পারভেজ তাকে মারপিট করে। এ ঘটনার প্রতিশোধ নিতেই তার ছোট বোনকে ধর্ষণ শেষে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী শনিবার সুমাইয়াকে কৌশলে ডেকে নিয়ে হত্যা করে।

জবানবন্দির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আলোচিত এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দর্শনা থানার পরিদর্শক মাহবুবুর রহমান।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর গ্রামের কৃষক নাসির উদ্দীনের দুই ছেলে মেয়ের মধ্যে সুমাইয়া ছোট। সে স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী। শনিবার দুুপরে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পর থেকে নিখোঁজ হয় সে। পরিবারের সদস্যরা সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পায়নি। বিকালে আশপাশের গ্রামগুলোতে মাইকিং করা হয়। সন্ধ্যার পরও শিশু সুমাইয়ার সন্ধান না পাওয়ায় রাতে খবর দেয়া হয় দামুড়হুদা থানা পুলিশকে।

দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস জানান, খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে রাত ১১টার দিকে সুমাইয়ার বাড়ির অদূরে একটি শিম ক্ষেতে লাশটি পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ। শিশু সুমাইয়ার লাশের পাশ থেকে উদ্ধার করা হয় একটি খালি শ্যাম্পুর প্যাকেট।

দামুড়হুদা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আবু রাসেল জানান, লাশের পাশে পড়ে থাকা খালি শ্যাম্পুর প্যাকেজের সূত্র ধরেই পুলিশের বেশ কয়েকটি ইউনিট অনুসন্ধানে নামে। রাতভর অনুসন্ধানের এক পর্যায়ে ভোরে হত্যার মোটিভ উদ্ধারে সক্ষম হন দামুড়হুদা থানার ওসি সুকুমার বিশ্বাস। আটক করা হয় শিশু সুমাইয়ার প্রতিবেশী মোমিনুলকে (২০)।

এদিকে শিশু সুমাইয়াকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে তার বাবা নাসির উদ্দীন রবিবার দুপুরে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার একমাত্র আসামি মোমিনুল। পুলিশ এ মামলায় মোমিনুলকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিকালে আদালতে হাজির করে।

(ঢাকাটাইমস/২ফেব্রুয়ারি/কেএম/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :