যে কারণে স্থগিত ঢাকা দক্ষিণের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের ফল

প্রকাশ | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৯:২৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা দক্ষিণের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের ফলাফল স্থগিত করলেও কোনো কারণ জানাননি রিটার্নিং কর্মকর্তা। একটি টেলিভিশন চ্যানেলে ওই প্রার্থীর বক্তব্য থেকে জানা গেছে, ঝুড়ি, ঘুড়ি আর টিফিন ক্যারিয়ারের বিভ্রাটে উলটপালট হয়েছে প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা।

ভোটকেন্দ্র থেকে পাওয়া ফল যোগ করে অভিযোগকারী শেখ মোহাম্মদ আলমগীর জিতিলেও রিটানিং কর্মকর্তার দপ্তর থেকে অন্য একজনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয় বলে তার দাবি। তিনি বিষয়টি রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে জানালে তা কোনো গুরুত্ব পায়নি। পরে ইভিএমের প্রিন্টেড কপিসহ অভিযোগ করেন তিনি।

শেখ মোহাম্মদের বক্তব্য, ভোটের দিন পোলিং এজেন্টদের কাছ থেকে পাওয়া ভোটের হিসাবে তিনি জিতেছেন ২৭ ভোটে। কিন্তু রাতে প্রকাশিত বেসরকারি ফলাফলে তিনি দেখতে পান টিফিন ক্যারিয়ার মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী জুবায়েদ আদেলের কাছে তিনি ২১০ ভোটে হেরেছেন।

নির্বাচনে শেখ মোহাম্মদের প্রতীক ছিল ঝুড়ি, জুবায়ের আদেলের টিফিন ক্যারিয়ার ও ইরোজ আহমেদের প্রতীক ছিল ঘুড়ি।

শেখ মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, ইভিএমএর প্রিন্টেড কপির হিসাবে আরমানিটোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়-২ পুরুষ কেন্দ্রে তার ঝুড়ি প্রতীক পেয়েছে ৪৩৯ ভোট। কিন্তু ফলাফলে দেখানো হয়েছে তিনি পেয়েছেন ২০২টি ভোট। অপরদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইরোজ আহমেদের ঘুড়ি প্রতীকে দেখানো হয় ৪৩৯ ভোট। আর বিজয়ী ঘোষিত স্বতন্ত্র প্রার্থী জুবায়েদ আদেলের টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীকে পড়ে ২২৬ ভোট।

এই হিসাবে সব কেন্দ্র মিলিয়ে শেখ মোহাম্মদের ভোট দাঁড়ায় ২২৩৫ আর জুবায়েদ আদেলের ২৪৪৫ ভোট। শেখ মোহাম্মদ বলেন, ‘তার মানে আমি ২০০ এর বেশি ভোটের ব্যবধানে হেরে গেছি। তখন আমি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বললাম যে এটা আপনি কি করলেন, এই ৪৪৯ ভোট তো আমার, এটা তো আপনারা মিসিং করছেন।’

ওই রাতে তার দাবির কোনো ফয়সালা হয়নি। শেখ মোহাম্মদ সারা রাত ঘোরাঘুরি করে রবিবার আবার কাগজপত্রসহ বিষয়টি জানান রির্টানিং কর্মকর্তাকে। পরে সন্ধ্যায় গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের ফলাফল স্থগিত করেন দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেন।

(ঢাকাটাইমস/৩ফেব্রুয়ারি/মোআ)